সম্প্রতি কুয়াশা ও বৈরি আবহাওয়ার কারনে যশোর ঝিনাইদহ মহাসড়ক যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। মহাসড়কের পাশাপাশি গামের রাস্তাঘাটে মাটি টানা গাড়ি,ট্রলিতে মাটি পরিবহনের সময় সড়কে অল্পস্বল্প মাটি পড়ে। সম্প্রতি ঘন কুয়াশা পড়ে ঐ মাটি ভিজে পিচ্ছিল হয়ে ঘটছে ছোটো বড় দুর্ঘটনা। এ কারণে প্রতিদিনই মহাসড়ক কিংবা গ্রামের কোথাও না কোথাও ঘটছে দুর্ঘটনা। অনেক দুর্ঘটনায় প্রাণহানিও ঘটছে। আবার অনেকে আহত হয়ে করছেন পঙ্গুত্ববরন। প্রশাসনের নাকের ডোগায় অনিবন্ধিত এইসব মাটিটানা গাড়ি মহাসড়ক নিয়মিত দাপিয়ে বেড়ালেও গুরুত্বের সাথে নেওয়া হচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ। গতকাল রবিবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দিশারি কাঠগোলা সংলগ্ন বাকুলিয়া মাঠ থেকে অবৈধ মাটি কাটা গাড়ি ও ট্রলিতে মাটি আনা নেওয়া শুরু করে। ভোর ৫টা থেকে ঐ মাটিতে স্লিপ করে পড়ে প্রায় ১৪টি মটর সাইকেল দূর্ঘটনার স্বীকার হয়। এ সময় কালীগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কতিপয় সদস্য ও স্থানীয়দের রাস্তায় বালি ও লাল পতাকা দিয়ে দূর্ঘটনা রোধে কাজ করতে দেখা যায়। দুর্ঘটনায় আহত মোটরসাইকেল আরোহী সাব্বির হোসেন জানান, রাস্তায় ভেজা মাটিতে বাইকের চাকা পিছলে পড়ে গেছি।আল্পের জন্য প্রাণে বেচে গেছি।যেসকল গাড়ি মাটি ফেলে মহাসড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ঐসব গাড়ির বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে আমি মনে করি। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুবেল হোসেন বলেন, পৌরসভার মধ্যে আমার এলাকার কর্দমাক্ত রাস্তা মেয়র মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে পরিষ্কারের ব্যবস্থা করব। বারোবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম জানান, মহাসড়কে অবৈধ মাটি টানা সব ধরনের যানের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি জনস্বার্থে অতি গুরুত্বপূর্ন এ বিষয়টিকে সামনে নিয়ে জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গ সড়ককে চলাচলের জন্য নিরাপদ করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এমনটি প্রত্যাশা করেন সকলে।