নওগাঁর ধামইরহাটে চোরের দোকান উচ্ছেদের দাবীতে ব্যবসায়ী ও বাজার বণিক সমিতি কর্তৃক সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। উপজেলার রামপুরাহাট বাজার এলাকায় চোর ফারুক হোসেনের শাস্তি ও তার দোকান উচ্ছেদের দাবীতে বুধবার বিকেলে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের পূর্ব তাহেরপুর গ্রামের আ. লতিফের ছেলে ফারুক হোসেন রামপুরাহাট বাজারে নৈশ্য প্রহরীর দায়িত্বপালন কালে নিজেই দোকানে চুরি করে এবং তা সিসি টিভি ফুটেজে ধরা পড়ে। এক পর্যায়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার ও গ্রাম পুলিশের উপস্থিতিতে চোর নৈশ্য প্রহরী ফারুকের বাড়ী তল্লাশী করে ১১৫টি ডুপ্লিকেট চাবী ও চুরি করা দোকানের মালামাল উদ্ধার করা হয়েছিল। এই অপরাধে ব্যবসায়ী নেতাদের উপস্থিতিতে জনপ্রতিনিধিরা চোরের ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন। পরবর্তীতে চোর ফারুক হোসেন তা পরিশোধ না করে বাজার এলাকায় জোর পূর্বক দোকান স্থাপন করে ব্যবসায়ী নেতাদের হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দেন। এরই প্রেক্ষিতে ২৫ জানুয়ারী বুধবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের রামপুরাহাট বাজার বণিক সমিতির উদ্যোগে ও সকল ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে সমিতি কার্যালয়ের সামনে সাবেক নৈশ্য প্রহরী চোর ফারুক হোসেনের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও তার দোকান উচ্ছেদের দাবীতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বণিক সমিতির সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘সমিতির নিয়ম না মেনেই জোর করে দোকান করেছে ফারুক হোসেন, আর সে দাগী চোর, সে এই বাজারে থাকলে ব্যবসায়ীদের আরও অপূরনীয় ক্ষতি হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে এ সময় সমিতির সহ-সভাপতি গোলজার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু, সহ-সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ সারোয়ার হোসেন, কার্যকরী সদস্য ফরিদ হোসেন, আনিছুর রহমান, মাসুদ রানা, গোলাপ হোসেন, সনজিত সহ ৬৯ ব্যবসায়ী ও স্থানীয় প্রেস ক্লাবের প্রায় ১৫ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে ইসবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুল আলম লাকী মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফারুকের চুরির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘যেহেতু ফারুক হোসেন পরিষদে লিখিত দিয়ে ঘটনাস্থলে দোকান দিয়েছে, ভাল হওয়ার জন্য তাকে সুযোগ দেওয়া দরকার ছিল। ’