গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আওড়াখালী বাজার বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন ২৮ জানুয়ারী শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শেষ মুহুর্তে প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত রয়েছেন প্রার্থীরা। বাজারের অলি-গলি ও চায়ের দোকানে আড্ডাসহ চলছে ভোটা কেনা-বেচা। প্রত্যেকের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে উঠে পড়ে লেগেছেন তার কর্ম সমর্থকরা। এ যেন সংসদ নির্বাচনকেও হার মানিয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সরজমিনে আওড়াখালী বাজারে গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য। বণিক সমিতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রায় অর্ধশত বছরের পুরোনো আওড়াখালী বাজারে ভিন্ন এক উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার রাত ১২টায়। শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। তবে এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ। ভোট উপলক্ষে নেওয়া হচ্ছে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা। সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে থাকবেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। শনিবার (২৮ জানুয়ারী) সকাল ৮ থেকে বিকেল ৩ পর্যন্ত আওড়াখালী বাজার বণিক সমিতি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে ১৪ টি পদের বিপরীতে ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। মোট ভোটার ৪৫৩ জন। সভাপতি ২ জন, সহ সভাপতি ২ জন, সাধারণ সম্পাদক ২ জন, সহ সাধারণ সম্পাদক ২ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ২ জন, কোষাধক্ষ্য পদে ২ জন প্রাথী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এদের মাঝে বিনাপ্রতিন্ধিতায় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক, সমাজ কল্যাণ ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, দপ্তার সম্পাদক ও প্রচার সম্পাদক পদে ৪ জন বিজয়ী হয়েছেন। বাকী ৪ জন সদস্যপদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। সভাপতি প্রার্থী মাহবুব আলম (শাহীন) (ছাতা প্রতীক) বলেন, ইতিপূর্বে আমি দুই বার সভাপতির দয়িত্ব পালন করে ব্যবসায়ীদের সেবা করেছি। আশা বাদী এবাও আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন ব্যবসায়ীরা। সভাপতি প্রাথী আলমগীর হোসেন খান (চেয়ার প্রতীক) বলেন, আমি ২ বার বিজয়ী হয়ে বাজারের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেছি। আমি আশাবাদী এবারও আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন। আওড়াখালী বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সারওয়ার হোসেন বলেন- অবাদ, সুষ্ঠ ও নিরপক্ষ ভোট গ্রহনের সার্বিক ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে করে ভোটারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আনিসুর রহমান বলেন, প্রশাসনের পক্ষথেকে সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নির্বাচন সুষ্ট করার লক্ষ্যে ভোট চলাকালীন পুলিশ প্রশাসন মোতায়েন থাকবে।