বাহারি সবজির পসরায় সুসজ্জিত ভ্যান, বিভাটেক সারি সারি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক একাংশ দখল করে চলে বেচাকেনা। এতে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজট। শুরু হয় জন ভোগান্তি। এমন চিত্র নিত্যদিনের। নিত্যকার এ ঘটনাটি ঘটে নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার বারৈচা বাসস্ট্যান্ডে। সরেজমিনে দেখা যায়, নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার বারৈচা বাসস্ট্যান্ডের উত্তরপার্শ্ব দখল করে সকালবেলা বসে সবজির হাট। একই সঙ্গে ঘাসের হাট। কয়েক বছর ধরে ব্যস্ততম এ সড়কে এ হাট বসছে নিয়মের বালাই না মেনেই। এতে ব্যস্ততম এ মহা সড়কে যানজট লেগেই থাকে। ভোগান্তিতে পড়তে হয় জনসাধারণকে। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে শুধু উপজেলা নয় নরসিংদী জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় সবজির হাট এটি। প্রতিদিন সকালে কয়েক ঘন্টার জন্য এ হাট বসার কথা বললেও মূলত সারাদিন ধরে চলে বেচাকেনা। তাছাড়া বেলাব-বারৈচা রাস্তার উভয় সংযোগস্থল দখল করে চলে ফলের দোকান, অস্থায়ী কাপড়ের দোকান, জুতা, কসমেটিকসসহ নানা ধরনের খাদ্যের দোকান, চায়ের স্টল ইত্যাদি। তাছাড়া সবজি ব্যবসায়ীদের অনেকে আগেরদিনই সবজি গাড়ি বোঝাই করে মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এসব কারণে যানজট আরো তীব্র হয়। ভোগান্তির শিকার আমিরউদ্দীন বলেন, আমি একটা এনজিওতে চাকরি করি। প্রতিদিনের এ যানজটের কারণে সময়মত কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারিনা। ব্যাংক কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ভৈরবে আমার কর্মস্থল। যানজটের কারণে এখনও আটকে আটকে আছি। আজ সপ্তাহের শেষ দিন। কখন পৌঁছবো তাও বলতে পারছিনা। অসুস্থ আছিয়া আক্তার বলেন, শিবপুর থেকে ভৈরব হাসপাতালে যাচ্ছি। এমনিতেই আমি অসুস্থ তার উপর দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থেকে আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছি। জানা গেছে এ হাটে বেলাব, কুলিয়ারচর, শিবপুর ও রায়পুরা থেকেও ব্যবসায়ী ও কৃষকরা সবজি এনে এ হাটে বিক্রি করেন। এ সময় কথা হলে সবজি বিক্রেতা হালিম জানান, ‘সকালে আমি ভ্যানে করে ১ মণ সিম, কয়েক মণ মূলা, টমেটো ও ৫ মণ আলু বিক্রি করতে এসেছি। হাটের মধ্যে ভিড়ে ঢুকতে পারিনি, তাই সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে বিক্রি করছি। ব্যাপারীরা এখানেই দরদাম করছেন।’ সবজি বিক্রেতা আব্দুল হাই বলেন, বাজারের ভিতরে জায়গা নেই। তাছাড়া বসলেও এমন কাস্টমার পাওয়া যায়না তাই রাস্তায় দাঁড়িয়েই বিক্রি করি। বাজার পরিচালনা পরিষদের সদস্য জাকির হোসেন বলেন, কারও অনুমতি লাগেনা। এরা নিজেরাই নিজেদের মতো দাঁড়িয়ে যায়। এ ব্যাপারে আমরা বারবার চেষ্টা করেছি কিন্তু এদের রুখতে পারিনি। তবে, ইজারাদার কবির হোসেনের মুঠোফোনে অনেকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা জান্নাত তাহেরা বলেন, উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে সবসময়ই কঠোর। তবে এসব ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা সকলের নজর এড়িয়ে এভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। এ ব্যাপারে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।