আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করায় শাস্তির মুখে রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ডিমেরিট পয়েন্টের সাথে জরিমানা করা হয়েছে এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যানকে। একই অভিযোগে রংপুরের আরেক ক্রিকেটার হারিস রউফকেও দেয়া হয়েছে ডিমেরিট পয়েন্ট। তবে তাকে জরিমানা করা হয়নি, সতর্কবার্তা দিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনাটা গত শুক্রবার সিলেট স্ট্রাইকার্স বনাম রংপুর রাইডার্সের ম্যাচে। যেখানে রংপুর বড় জয় পেয়ে হাসিমুখেই মাঠ ছাড়ে। তবে ম্যাচের মধ্যখানে একটি নো বল নিয়ে আম্পায়ারের সাথে সোহানের বাকবিত-া দেখা যায়। মূলত শেষ ওভারে রবিউল হকের একটি বল সিলেটের রেজাউর রাজার মাথায় লাগে। এবং ওভারে তা দ্বিতীয় বাউন্সার হওয়ায় আম্পায়ার নো বলের ইশারা দেন।
তবে নুরুল হাসান সোহান ও হারিস রউফ আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেন। যা বিসিবি’র রীতিনীতি বিরুদ্ধে যায়। ফলে আম্পায়ার তাদের বিরুদ্ধে কোড অব কন্ডাক্ট ভাঙার অভিযোগ আনেন। অনফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল ও প্রগিত রাম্বুকওয়েলা ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পালের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। যা আমলে নিয়ে শাস্তি দেন।
দুজনেই বিসিবির কোড অব কন্ডাক্টের অনুচ্ছেদ নম্বর ২.৮ ভঙ্গ করেছেন। ফলে ম্যাচ ফি’র ৩০ শতাংশ জরিমানার পাশাপাশি সোহানের ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডে যুক্ত হয়েছে ২ ডিমেরিট পয়েন্ট। আগেও একই কা-ে ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট থাকায় এই টুর্নামেন্টে সোহানের মোট ডিমেরিট পয়েন্ট হলো ৩। নিয়ম অনুযায়ী সোহান আরো একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন। কোড অব কন্ডাক্টের অনুচ্ছেদ নম্বর ৭.৫ অনুযায়ী টুর্নামেন্টে কোনো ক্রিকেটারের ডিমেরিট পয়েন্ট ৪ হয়ে গেলে শাস্তি এক ম্যাচ সাসপেনশনে পরিণত হবে। এদিকে আনুষ্ঠানিক ভর্ৎসনা ও ১ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন হারিস রউফ। দু’জনেই শাস্তি মেনে নেয়ায় আনুষ্ঠানিক শোনানির প্রয়োজন হয়নি।