চট্টগ্রাম পর্বে সুযোগ ছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ছোঁয়ার। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে পয়েন্টে সিলেটকে ধরে ফেলেছিল সাকিবের ফরচুন বরিশাল। শুধু পয়েন্টে সমান হওয়াই নয়, নেট রানরেটে সিলেটকে টপকে শীর্ষে চলেও গিয়েছিল বরিশাল। সিলেটে মাশরাফির দল প্রথম ম্যাচ হারায় বরিশালের সামনে সুযোগ চলে আসে ব্যবধান কমানোর পাশাপাশি দ্বিতীয় স্থানটি আরও মজবুত করার। কিন্তু আজ সিলেট পর্বেও শেষ দিন ঢাকা ডমিনেটর্সের কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে সাকিবের দল পিছিয়ে পড়লো দুই ধাপ। সিলেটের ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্টের বিপরীতে বরিশালের পয়েন্ট দাঁড়ালো ৯ খেলায় ১২। এখন যা অবস্থা, তাতে সিলেটকে পেছনে ফেলে সাকিবের দলের শীর্ষে যাওয়া কঠিন।
যতটা সামনে এগোনোর সুযোগ ও সম্ভাবনা ছিল, সিলেট পর্বে তা হলো না বরিশালের। তাই হারের পর আক্ষেপ বরিশাল অধিনায়কের। মঙ্গলবার খেলা শেষে সাকিব বলেন, ‘আজকের ম্যাচ খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার মনে হয়, ওখান থেকে আমরা একটু পিছিয়ে পড়লাম। যে সুযোগ ছিল হাতছাড়া করেছি। তারপরও আমাদের তিনটা ম্যাচ আছে। প্রতি ম্যাচই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যদি সেরা দুইয়ে কোয়ালিফাই করতে চাই। চেষ্টা থাকবে যেন ঢাকায় আমরা জয়ের ধারায় ফিরতে পারি।’
এবারের বিপিএলে শুরু থেকেই তার ব্যাট হাসছে। প্রতি খেলায় রান করেছেন। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতেও পেরেছেন। কিন্তু শেষ কয়েক ম্যাচে ব্যাটে রানের ধারা কমে গেছে সাকিবের।
প্রথম ৫ খেলার তিনটিতেই (৬৭, ৮১* ও ৮৯*) করেছিলেন হাফসে ুরি। তবে সর্বশেষ ৪ ম্যাচে বড় ইনিংস খেলতে পারেনি। শেষ দুই ম্যাচে (২ ও ৫) তো দাঁড়াতেই পারেননি উইকেটে।
সাকিব আশা করছেন, আবারও শুরুর মতো ছন্দে ফিরতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘শেষ কয়েকটা ম্যাচ এত ভালো করতে পারিনি। আশা করি আবার যেন ভালো ব্যাট করতে পারি। যেভাবে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলাম, পরের অংশে এসেও যেন ওভাবে শেষ করতে পারি।’ সবমিলিয়ে টুর্নামেন্ট হিসেবে বিপিএলটা এবার কেমন যাচ্ছে? সাকিবের ছোট উত্তর, ‘ভালো।’ কথা বলার এক পর্যায়ে সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয় হাথুরুসিংহের ব্যাপারে। আবারও কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেলে কেমন করবেন হাথুরু? এমন প্রশ্ন সাকিব ‘নো কমেন্টস’ বলে এড়িয়ে যান। এরপর আবারও সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয় হাথুরুসিংহে কোচ হিসবে আসলে আপনার কেমন লাগবে? এবার জবাবে সাকিব বলেন, ‘ঠিক আছে’।