শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে হলুদ ফুলে ভরে গেছে ক্ষেত: সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

আব্দুল কাইয়ুম জয়পুরহাট :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

শীতের সিক্ত বাতাসে পাঁচবিবি উপজেলার মাঠগুলোতে কৃষকের স্বপ্ন দুলছে সরিষার মৌ মৌ গন্ধে। উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মাঠগুলোতে চোখ পড়বে হলুদ চাদরে ঢাকা। চোখ জুড়ানো হলুদ ফুলের অপরূপ দৃশ্য। এদিকে ভোজ্য তেলের দাম ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছেন। এতে খরচ হয় কম। সেচ ও সার লাগে অত্যন্ত কম। সরিষা পাতা উৎকৃষ্ট জৈব্য সার হিসেবে জমিতে ব্যবহার করা হয়। চলতি মৌসুমে উপজেলায় সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৬ শত হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ৫ হাজার ৯ শত ৪৫ হেক্টর। উৎপাদন ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৪ শত ৪৮ মেট্টিক টন। গত বছরের তুলনায় উপজেলায় এবার বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে। বাম্পার ফলনে সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়,দুই- একটি চাষাবাদ বা বিনা চাষে জমিতে ছিটিয়ে সরিষা বীজ বপণ করা হয়ে থাকে। আবাদে সেচ, সার ও কীটনাশক লাগে কম। কম খরচে সরিষা উৎপাদন হয়ে থাকে। বর্তমানে মাঠগুলোতে সরিষা ফুল ফুটতে শুরু করেছে। উপজেলার বাগুনতলী গ্রামে রুহুল আমিন, বাবু, মুরাদ, নওগাঁ কাঁঠালী গ্রামের মোজাফ্ফর, ধরঞ্জী গ্রামের আমজাদ হোসেনসহ প্রায় ৩০ জন কৃষক জানান, তারা এ বছর কৃষি বিভাগের পরামর্শে অধিক উৎপাদনশীল জাতের বারি সরিষা-৯-১৫-১৭,১৮ ও বি এ ডি সি সরিষা-১ আবাদ করছেন। তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে জমিতে ভালো ফলন হবে। বাজিতপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক জানান, কৃষি প্রণোদনার অংশ হিসাবে উপজেলা কৃষি বিভাগ সরিষা চাষাবাদের জন্য সার ও বীজ বিনামুল্যে সহায়তা করেছে। জমিতে বীজ বপণ করে সরিষা ভালো হয়েছে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে সরিষা চাষাবাদ খরচ কম। উৎপাদন ভালো হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সামনের বছর অতিরিক্ত জমিতে সরিষা চাষ করবেন বলে তিনি জানান। উপজেলার পৌরসভাসহ বালিঘাটা, আটাপুর, মোহাম্মদপুর, আওলাই, কুসুম্বা, বাগজানা, ধরঞ্জী, আয়ামা রসুলপুর ইউনিয়ানের বির্স্তীণ মাঠগুলো ঘুরে দেখা গেছে সরিষা আবাদ ভালো করছেন কৃষকরা। ফুলে ফুলে ভরে গেছে মাঠ। কৃষকের মনে বইছে আনন্দের জোয়ার। এ বছর প্রণোদনা বীজ ও সার দেয়া হয়েছে ৪ হাজার ৫ শত জনকে ও বিভিন্ন প্রকল্পের ১৫০ জনকে প্রদর্শনী বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। নতুন এসব জাতের সরিষার ফলন বেশি এবং জীবনকাল কম। সরিষা কেটে কৃষরা বোরো ধান ও উৎপাদন করতে পারবেন। একই জমিতে বছরের ২ থেকে ৩ টি ফসল উৎপাদন সম্ভব এবং নতুন জাতের সরিষার ফলন বিঘা প্রতি ৬ থেকে ৭ মন হবে বলে কৃষি বিভাগ জানান। তার ধারনা করছেন চলতি বছরে উপজেলায় সরিষার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com