শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
মাধবদীতে লোডশেডিং ও গরমে ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে চার্জার ফ্যানের বৃষ্টি প্রার্থনায় অঝোরে কাঁদলেন বরিশালের মুসল্লিরা আদিতমারীতে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা নওগাঁয় বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন ছড়ার পানিই ভরসা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর চকরিয়ায় একাধিক অভিযানেও অপ্রতিরোধ্য বালুখেকো সিন্ডিকেট রবি মওসুমে নওগাঁ জেলায় ৮৮ হাজার ১১০ মেট্রিকটন ভূট্টা উৎপাদনের প্রত্যাশা কটিয়াদীতে প্রচন্ড তাপ প্রবাহ, বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসস্তিকা বরিশালে দাপদাহে স্বাস্থ্য সুরক্ষার্থে শেবাচিম হাসপাতালে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা শুরু কালীগঞ্জে রাতের অন্ধকারে কৃষি জমির মাটি লুট

টমেটোর উন্নত বীজে অধিক ফলন, কৃষক লাভবান

শফিকুল ইসলাম শামীম :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

উন্নতমানের টমেটো বীজে অধিক ফলন পেয়েছে রাজবাড়ীর প্রান্তিক কৃষকেরা। ভালো ফলন হওয়ায় অল্প জমিতে অধিক লাভের আশা করছে তারা। রাজবাড়ী জেলার ৫টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাই ব্রিড টমেটো-ইউএল-৭৪২, হাই ব্রিড টমেটো ক্লাসিক, হাই ব্রিড টমেটো-ভিএল-৭৪২, হাই ব্রিড টমেটো সেঞ্চুরী-৬০ ও বাবলী টমেটো বীজের আবাদ করছে রাজবাড়ী জেলার প্রান্তিক কৃষকেরা। এই টমেটোর ফলনও অধিক।
রাজবাড়ীর জেলার কৃষক ফুল চাঁদ বলেন, ‘স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ৩ বিঘা জমিতে ইউনাইটেড সীড কোম্পানীর হাই ব্রিড টমেটো-ইউএল-৭৪২ বীজের চারা নিয়েছিলাম। এতে বিঘা প্রতি ৮০/৯০ মণ টমেটো হয়েছে। দামও ভালো পেয়েছি। প্রথমে ১৫/১৬ শত টাকা মণ বিক্রি করেছি। এখন ৮/৯ শত টাকা মণ বিক্রি করতে পারছি।’ তিনি আরোও বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে টমেটো লাগালে জমিসহ ৫০/৬০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে আমি ১ লাখ টাকার বেশি টমেটো বিক্রি করতে পারবো। সেই হিসাবে প্রতি বিঘা জমিতে ৪০/৪৫ হাজার টাকা লাভ হবে।’
এ সময় রাসেল বেপারী নামের এক কৃষক বলেন, ‘স্থানীয় ডিলারের কথামত হাই ব্রিড-ভিএল-৭৪২ জাতের টমেটো বীজ বপন করেছি। আমার বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার অধিক টমেটোর ফলন হয়েছে। আমি এবার দেড় বিঘা জমিতে টমেটো লাগিয়ে ছিলাম। আগে বুঝতে পারলে আরও বেশি টমেটো লাগাতে পারতাম। আমার টমেটো দেখতে অনেক কৃষক প্রতিদিন আসছে। এই টমেটো লাগানোর কারণে আমি অনেক লাভবান হবো।’
খবির মিয়া নামের এক কৃষক বলেন, ‘কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে বাবলী টমেটো লাগিয়েছি। ফলন ৩/৪ গুণ বেশি হয়েছে। সেই হিসাবে আমি পূর্বের চেয়ে অধিক লাভবান হবো।’ তিনি বলেন, ‘এই টমেটোর সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে, ট্রান্সপোর্ট করলে কালার নষ্ট হয় না। অধিক ভারি। যে কারণে দামও অন্যে টমেটোর চেয়ে ২/৩ টাকা কেজি প্রতি বেশি।’ ইউনাইডেট সীড কোম্পানীর মার্কেটিং অফিসার বিকাশ চন্দ্র বলেন, ‘অল্প জমিতে অধিক ফলন উৎপাদনের লক্ষ্যে আমরা সার্বক্ষণিক কৃষকদের মাঠে গিয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি। শুধু বীজ বিক্রি করে নিশ্চিত থাকি না। বীজ বপনের পর থেকে ফলন বিক্রি করা পর্যন্ত আমরা মাঠে গিয়ে কৃষকদের নানা প্রকার পরামর্শ দিয়ে থাকি এবং সার্বিক সহযোগিতা করে থাকি।’ গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান জানান, ‘অল্প জমিতে বেমি ফলন উৎপাদনের লক্ষ্যে হাইব্রিড টমেটো আবাদ করছে কৃষক। এতে কৃষকও লাভবান হচ্ছে আবার দেশের খাদ্যের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে।’- রাইজিংবিডি.কম
পাকিস্তানি বাবা-বাংলাদেশি মা, ছেলের নাম রাখলেন ইন্ডিয়া
অনেক অভিভাবক চান তাদের সন্তানের নাম হবে বেশ অভিনব। ছেলের এমনই এক অভিনব নাম রেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ওমর-এশা দম্পতি। বাংলাদেশি-পাকিস্তানি দম্পতি ছেলের নাম রেখেছেন ‘ইন্ডিয়া ’।
এর পেছনে অবশ্য একটি উদ্ভট কারণ রয়েছে। একটি ফেসবুক পোস্টে পাকিস্তানি সঙ্গীতশিল্পী ওমর এশা জানাচ্ছেন- জন্মের পর থেকে আর পাঁচটা অভিভাবকের মতো ছেলেকে আমাদের দুইজনের মাঝে শোয়ানোর অভ্যাস করিয়েছিলেন স্ত্রী। সেই থেকে আমাদের মাঝে প্রাচীরের মতো রয়ে গেছে সে। নিজের ঘর থাকা সত্ত্বেও সে আমাদের মাঝে এইভাবে বিভেদ সৃষ্টি করে চলেছে। তাই পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ, এই দুই দেশের মধ্যিখানে ছেলে ইন্ডিয়ার অবস্থান রীতিমতো সমস্যা তৈরি করছে। শুধু তা-ই নয়, নতুন অভিভাবকদের উদ্দেশে ওমর বলেন, ‘আমার বেগম আমাদের প্রথম সন্তান ইব্রাহিমকে ছোটবেলা থেকেই আমাদের বিছানায় ঘুমাতে দেওয়ার মতো নির্বোধ কাজ করেছে। আসলে আমরা তাকে নিয়ে খুব সতর্ক ছিলাম। আমাদের মতো ভুল যারা করে ফেলেছেন, তাদের প্রতি আমার সমবেদনা রইলো। ভবিষ্যতে এমন ভুল করার আগে দু’বার ভাববেন। ইব্রাহিমের নিজের বেডরুম আছে কিন্তু তা সত্ত্বেও সে এখন তার বাবা-মায়ের সাথে ঘুমাতে পছন্দ করে। এরপরই এশা রসিকতা করে বলেছেন- ‘আমি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এবং আমার স্ত্রী বাংলাদেশি, আমরা ইব্রাহিমকে একটি নতুন নাম দিয়েছি, আমরা তাকে এখন ইন্ডিয়া বলে ডাকি। কারণ সে তার পাকিস্তানি এবং বাংলাদেশি বাবা-মায়ের ঠিক মাঝখানে শুয়ে বিভেদ সৃষ্টি করছে।’’ পোস্টটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে, ২৩ হাজারেরও বেশি লাইক পেয়েছে। বেশ কয়েকজন অভিভাবক কমেন্ট সেকশনে লিখেছেন -” বাবা-মা উভয়ের মাঝে ঘুমানো বেশ আরামের। আরেকজন লিখেছেন, প্রথম দিনগুলিতে আমি আমার বাচ্চাকে খাটে রাখার চেষ্টা করেছি, কিন্তু সে স্থির থাকেনি ! সন্তান যদি বাবা-মায়ের মাঝে শুয়ে আরাম পায় তাদের দোষ দেওয়া যায় না!” তবে অনেকেই মেনে নিয়েছেন যে শিশুরা বাবা-মায়ের মাঝে নিরাপদ বোধ করে।
সূত্র : টাইমস নাও




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com