নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য সুরমী আক্তার সুমি, নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে তার অপসারণ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে তানবিনা আক্তার মুন্নি(২২) লিখিত অভিযোগে জানায়, গত ৮জুন ২০২০ তারিখে সাগর খান(২৫) এর সাথে ধর্মীয় বিধান অনুসারে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দুর্গাপুর পৌরশহরের তেরী বাজার এলাকায় বসবাস শুরু করি। আমাদের দাম্পত্য জীবনে ১৪মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সুরমী আক্তার সুমি দুর্গাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আলা উদ্দিন আলাল এর দ্বিতীয় স্ত্রী। সুরমী আক্তার ওই বিয়ের পুর্বেও আরেকটি বিয়ে করেছেন। আমার স্বামী মেয়র আলালের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে চাকুরির সুবাদে পরিচয় হয় ওনার স্ত্রীর সাথে। মেয়র এর সাথে সংসার চলাকালীন সময়ে নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহের অনেক শ্রমিক নেতাদের সাথে আপত্তিকর ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আমার স্বামী সাগর খান প্রায়ই রাত করে বাসায় ফিরে, কোনদিন ফিরেও না, এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে কোন সদুত্তর না পেয়ে অনুসন্ধানে জানতে পারলাম, সুরমী আক্তার আমার স্বামীর সাথেও পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েছে। আমার স্বামীর সাথে বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও ক্লিপ ফেসবুকে ভাইরাল হলে আমি আসল ঘটনা বুঝতে পারি। এ বিষয়ে আমার স্বামীর কাছে জানতে চাইলে, সে আমাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতনসহ অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে ৫ লক্ষ টাকার যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। নয়তো আমার সাথে সংসার করবে না বলে জানায়। এ ঘটনার জেরে জেলা পরিষদ সদস্য সুরমী আক্তার গত ৬ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে আমার বাসায় এসে, আমাকে আমার স্বামীর মায়া ছেড়ে দিতে হুমকী প্রদান করে, যাওয়ার সময় আমি যদি এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করি, তাহলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুকমী দিয়ে যায়। এরপর থেকে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। ওই ঘটনার জেরে গত ১৬ জানুয়ারি আমি বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করি এবং পরবর্তিতে দুর্গাপুর চৌকি আদালতে একটি সি.আর মোকদ্দমা দায়ের করি। সুরমী আক্তারের এহেন কর্মকান্ডের জন্য তাকে জেলা পরিষদ সদস্যপদ থেকে অপসারনের দাবিতে সাংবাদিদের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও নেত্রকোনার স্থানীয় সরকারের সচিব মহোদয় সহ জেলা প্রশাসকের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা আ‘লীগের সভাপতি বানী চক্রবর্ত্তী, মো. ইমন, তামান্না আক্তার, ব্যবসায়ি মাসুদ ইকবাল প্রমুখ। এ ব্যপারে জেলা পরিষদ সদস্য সুরমী আক্তার সুমি মুঠোফোনে বলেন, আমায় নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে যে ছবি ও তথ্য দেয়া হয়েছে তা সঠিক নয়। সময় হলে আমি সবকিছু সর্ব মহলে তুলে ধরবো।