নীলফামারী জলঢাকা উপজেলা ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন নেকবক্ত এলাকার জনগন শিক্ষা, সাস্হ্য,যোগাযোগ,বিভিন্ন সুযোগ-সুবিদা থেকে এখন ও অবেহেলিত।স্বাধীনতার এত বছর হয়ে গেল এখন ও এলাকার কোন উন্নয়নের প্রসার ঘটেনি।নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নেকবক্ত বাজার সংলগ্ন ঘাটের পাড় তিস্তা নদীর উপর একটি ব্রীজের অভাবে লাখো মানুষের দূর্ভোগের যেন অন্ত নেই জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের নেকবক্ত এলাকা ঘেঁষে গেছে বুড়ি তিস্তা নদী। ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরভরট নেকবক্ত এলাকার মনছের ঘাটে সেতু না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন লাখো মানুষ। এখানে নদী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। আর একটি মাত্র নৌকা থাকলেও তা সব সময় থাকে না। ফলে, প্রতিনিয়ত অসুবিধায় পড়তে হয় ঘাট দিয়ে চলাচলকারী ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের নেকবক্ত, চরভরট, সিদ্ধেশ্বরী ও ডাউয়াবাড়ি গ্রাম, শৌলমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ চরভরট ও আলসিয়াপাড়া গ্রাম, গোলমুন্ডা ইউনিয়নের হলদিবাড়ি, ঘোড়ামারা ও সিদ্ধিসিড়ি গ্রামের মানুষকে। এই নদী পারাপারে সেতু না থাকায় এসব গ্রামের মানুষেরা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন উপজেলা শহর থেকে। পল্লী চিকিৎসক সহিদার রহমান বলেন, এই নদীটি আমাদের জন্য একটি অভিশাপ। এখানে একটি সেতুর অভাবে আমরা আমাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাইনা। সময়মতো বাজারজাত করতে না পারায় প্রায়ই ফসল নষ্ট হয়ে যায়। গোলমুন্ডা ইউনিয়নের হলদিবাড়ি এলাকার মো:জামিয়ার রহমান বলেন, ১০/২০ দিন আগে রাতে হঠাৎ করে আমার এক আত্মীয় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে জলঢাকা হাসপাতালে নেওয়ার উদ্দেশে ঘাটে আসলে, সেখানে কোনো নৌকা না থাকায় রোগীকে আর হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে, বাধ্য হয়ে স্থানীয় কবিরাজ দিয়ে তার চিকিৎসা করানো হয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, লোকজনের পারাপার বেড়ে যাওয়ায় গ্রামের মানুষেরা স্থানীয় প্রতিনিধিদের কাছে বুড়ি তিস্তা শাখা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি।বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে নদীতে নৌকা মেলে না। চরাঞ্চলের মানুষ অভিযোগ করে জানান, মাত্র ২২৫ শ মিটার এ নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য তারা অনেকবার জনপ্রতিনিধি এবং সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করে ছিল। তারা সেতু নির্মাণে বারবার আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ হয়নি এদিকে, নেকবক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন,মোস্স্ফা ,খলিলুর রহমান, আল-আমীন, সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্ষাকালে প্রায়ই আমরা স্কুলে যেতে পারিনা। ঘাটে নৌকা না থাকায় নদী পার হওয়া সম্ভব হয় না।কখনো নৌকা পেলেও স্কুলে যেতে দেরি হয়। তাছাড়া নৌকা উল্টে প্রায়ই আমাদের বই-খাতা ও স্কুলের পোশাক ভিজে যায়। এ কারণে যুগ যুগ ধরে চলে আসা এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে চান এ সব এলাকার মানুষ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বার বার ধর্ণা দিয়েও তাদের কাঙ্ক্ষিত দাবি পূরণ হয়নি। বার বার শুধু প্রতিশ্রুতি মিললেও সেতুর দাবি পূরণ হয়নি ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন চর ভরট এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সালেক মিয়া বলেন, এখানে সেতু না থাকায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। আমরা বার বার এখানে একটি সেতু চেয়েছি। কিন্তু, আমাদের দাবি কেউ আমলে নেয়নি। ডাউয়াবাড়ি , একটি সেতুর দাবিতে এখানকার সব মানুষ একাত্ম হয়েছেন। আশা করি, প্রধানমন্ত্রী জনগণের প্রাণের দাবি এবার পূরণ করবেন। ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল মালেক জানান, তার ইউনিয়নের বেশিরভাগ অংশ নদীর ওপারে রয়েছে।আমি নিজেও চর ভরট এলাকায় বসবাস করি। এছাড়া এলাকার মানুষ যোগাযোগ সমস্যায় উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছেন। জনস্বার্থে ওই নদী পারাপারে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানান তিনিএলাকার জনগনের একটাই দাবী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন অসম্ভব পদ্মা সেতুর কাজ বাস্তবায়ন করেছেন। উত্তর বঙ্গের বঙ্গবন্ধু সেতু কাজ সম্পন্ন করেছেন যা বঙ্গবন্ধু সেতু নামে বিশ্বে ক্ষেতিয়মান। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাছে নীলফামারী জলঢাকা উপজেলা ডউয়াবাড়ী নেকবক্ত ইউনিয়নের জনগনের একটাই দাবী হমার এলাকায় নদী পারা পারের জন্য একটি ব্রীজ তৈরী করে দেন যা বঙ্গবন্ধু বুড়িতিস্তা ব্রীজ নামে পরিচিত থাকবে