শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন

প্রতিটি জায়গায় লুটপাটের কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাচ্ছে : খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

প্রতিটি জায়গায় লুটপাটের কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাচ্ছে বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল সোমবার রাজধানীর বনানীতে তার নিজ অফিসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, সরকার একদিকে মেগা প্রজেক্টের নামে লুটপাট করে টাকা বিদেশে পাচার করেছে। অন্যদিকে লুটপাট করে ব্যাংকগুলো খালি করে দিয়েছে। ডলারের অভাবে এলসি খুলতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। পুরো বিষয়টি হচ্ছে একটি অবৈধ দখলদার সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে। যাদের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহি করতে হচ্ছে না। এরফলে প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তারা চরম দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের কোষাগার শূন্যের কোটায় নিয়ে গেছে। তারপর ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিয়ে চালাচ্ছে। তারা দেশ কিভাবে চালাচ্ছে এটা মানুষের জানা দরকার। তারা মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে, উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের টাকা লুটপাট করে শুধু বাংলাদেশের তহবিল খালিই করেনি, এই টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
সরকার জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে উল্লেখ করে আমির খসরু বলেন, তারা ক্ষমতা দখল করে অব্যাহতভাবে থাকতে চাচ্ছে। তারা চাচ্ছে এখানে একটি সহিংসতা। তারা নিজেরা সহিংসতা করছে এবং সহিংসতা বাড়ানোর একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে চলছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক আগুন সন্ত্রাসের কথা বলা হচ্ছে। তারা বিরোধী দলে থাকতে আগুন সন্ত্রাস করেছে, সরকারি দলে থাকতে আগুন সন্ত্রাস করেছে। আবার এখন আগুন সন্ত্রাসের কথা বলছে। সুতরাং এরা চাচ্ছে একটি সহিংসতা। অবৈধভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার যে একটি প্রক্রিয়া, ভোট চুরি করার প্রক্রিয়া রয়েছে এটাকে তারা অব্যাহত রাখতে চাচ্ছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশের মানুষ সহিংসতা চায় না। তারা চায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর। জনগণ তাদের নির্বাচিত সরকার গঠন করতে চাচ্ছে। সুতরাং আন্দোলন সেদিকে চলছে। এটাই আন্দোলনের ধারা, আমাদের এর বাইরে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, জনশক্তির উপর কোনো শক্তি থাকতে পারে না। জনশক্তির বিরুদ্ধে কোনো অপশক্তি থাকতে পারে না। এটা বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রমাণ করেছে, ভাষার জন্য প্রমাণ করেছে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে প্রমাণ করেছে এবং এবারো প্রমাণ করেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। কর্মসূচিতে তাদের উপস্থিতির মাধ্যমে এবং বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে তারা এই কাজটি করছে।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রথম ধাপের আন্দোলনে সকল বাধা বিপত্তি, মামলা, হামলা, সরকারের গণপরিবহন বন্ধের পরেও সফল হয়েছে। তারা (সরকার) রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে। যত বেশি রাজনৈতিকভাবে তারা পরাজিত হচ্ছে তত বেশি তারা শক্তির কথা বলছে, তত বেশি তারা সহিংসতার কথা বলছে। তারা আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা আগুন সন্ত্রাসের কথা বলছে। সুতরাং এতেই প্রমাণ করে জনগণের সমর্থন এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কাছে কোনো কিছুই দাঁড়াতে পারে না।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের বিশ্বাস করছে না। জনগণ তাদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদেরকে বিদায় দেয়ার জন্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই অবৈধ দখলদার সরকারকে বিদায় করবে। জনগণকে তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। জনগণ একটি নির্বাচিত সংসদ গঠন করতে চায়। এই মডেলের বিপরীতে অন্য কোনো মডেলের কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। এর বিপরীতে অন্য কোনো সুযোগ নেই।
খসরু বলেন, রাষ্ট্রপতি কে হলো এ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। বাংলাদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে তার নিজের ভোট দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চায়। যে সরকারের জবাবদিহিতা থাকবে। এর বাইরে মানুষের কোনো আগ্রহ নেই।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com