মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ফজর নামাজের অপেক্ষা আমাকে ভূমিকম্প থেকে বাঁচিয়েছে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

ফুটবলার কেভিনর সোনি সাক্ষাৎকার
ক্যামেরুনের ফুটবলার কেভিন সোনি (২৪)। খেলেন তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় ক্লাব হাতায়স্পোরের আক্রমণভাগে। সম্প্রতি তুরস্ক ও সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের দিন তিনি তুরস্কে অবস্থান করছিলেন। তবে সৌভাগ্যবশত আল্লাহ তাকে এই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করেন। কিন্তু কিভাবে তিনি নিরাপদ রইলেন, সে প্রসঙ্গে কেভিন সোনি বলেন, ‘বেঁচে যাওয়ার মূল কারণ হলো– তখন আমি ফজরের নামাজের অপেক্ষা করছিলাম।’ গত শুক্রবার আলজাজিরা মুবাশির ক্যামেরুনীয় ফুটবলারের সাক্ষাৎকারের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সাক্ষাৎকারটি বৃহস্পতিবার ফুট মারকাতো নামের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। সেখানেই কেভিন সোনি একথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘রোববার বিকেলে আমাদের কাশিমপাশা ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচ ছিল। ওই ম্যাচে আমাদের ক্লাব হাতায়স্পোর জয়লাভ করে। ম্যাচ শেষে আমি বাসায় ফিরে আসি।’
কেভিন সোনি বলেন, ‘পরদিন সোমবার (স্থানীয় সময়) ভোর ৫টা পর্যন্ত বাসায় পরিবারের সাথেই ছিলাম। হঠাৎ জমিনে কম্পন শুরু হলো। ওই সময় আমি পরিবারের সদস্যদের স্থির থাকতে বলি।’
‘কিন্তু যখন দেখলাম দেয়াল ও ছাদ ধসে পড়া শুরু হয়েছে, তখন সিঁড়ির দিকে দৌড়ে যাই। এ সময় মোবাইল ও পাসপোর্ট ছাড়া আর কিছু সাথে নেয়ার সময় ছিল না।’ জানান কেভিন।
তিনি বলেন, ‘আকস্মিক ওই পরিস্থিতিতে ১৭ তলা ভবনটির সপ্তম তলা থেকে লাফ দিব ভেবেছিলাম। তখন নিজেকে বললাম– যদি আমি এখান থেকে লাফ দিই, তাহলে পা ভেঙ্গে ফেলব, আর কোনো দিনই ফুটবল খেলতে পারব না। এজন্য সিদ্ধান্ত বদল করে সিঁড়ির দিকে দৌড়াই এবং বের হতে সক্ষম হই।’
কেভিন সোনির মতে ‘তার সাথে যা ঘটেছে, তা সত্যিই অলৌকিক ঘটনা।’ তিনি বলেন, ‘আমি একজন সচেতন মুসলিম। (এই বিপদ থেকে) আমাকে রক্ষা করেছে নামাজের অপেক্ষা। (স্থানীয় সময়) ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে ফজর নামাজ আদায়ের অপেক্ষা করছিলাম আমি।’
‘আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান যে ভবনটি গুড়িয়ে যাওয়ার আগেই আমরা তা থেকে বের হতে পেরেছিলাম। দিনটি এমন ছিল, যা সবকিছু ওলটপালট করে দিয়েছে। আমি আমার আশপাশে অনেক মানুষকে প্রাণ হারাতে দেখেছি। আমি সত্যিই বিস্মিত!’ বলেই যাচ্ছিলেন কেভিন সোনি। -আলজাজিরা মুবাশির অবলম্বনে বেলায়েত হুসাইনের অনুবাদ




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com