অবশেষে হাসিমুখে মাঠ ছাড়লো লিভারপুল, বছরের প্রথম জয় পেয়েছে অলরেডরা। নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এভারটনকে ২-০ গোলে হারিয়েছে তারা। যদিও এই জয়ে অবস্থান বদলায়নি লিভারপুলের, গতবারের রানার্সআপ এবার লিগ টেবিলের নয় নম্বর দল, শঙ্কায় শীর্ষ চারে ওঠা! তবে স্বস্তির খবর যে শাপমুক্ত হয়েছে লিভারপুল, নতুন বছরে প্রথম জয় পেয়েছে তারা। গত রাতের আগে সর্বশেষ চার ম্যাচে কোনো জয় ছিল না বছরের শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকা লিভারপুলের। তিন হার ও এক ড্র। তবে মার্সিসাইড ডার্বির এই জয়টা ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় দেবে জুর্গেন ক্লপের শিষ্যদের। এনফিল্ডে এদিন শুরু থেকেই ম্যাচে আধিপত্য ধরে রেখে খেলতে থাকে লিভারপুল। একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে এভারটনের দূর্গে। যদিও শুরুর দিকেই সুযোগ পেয়েছিল এভারটনও, কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে হেড করেন ডিফেন্ডার জেমস তারকাভস্কি। কিন্তু বল গোলপোস্টে লেগে ফিরে এলে গোল বি ত হয় এভারটন।
এদিকে একাধিক আক্রমণ ব্যর্থ হবার পর স্বাগতিকরা প্রথম সফলতা পায় সালাহর সৌজন্যে। ৩৭তম মিনিটে নুনেজের মাপা ক্রসে পায়ের আলতো ছোঁয়ায় এভারটনের জালে বল পাঠান সালাহ। সেই সাথে এনফিল্ডে শততম গোলের রেকর্ড গড়লেন এই মিশরীয় ফরোয়ার্ড। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় লিভারপুল। তবে বিরতির ৪ মিনিট পরই আরনল্ডের ক্রস থেকে গোল ব্যবধান বাড়ান গাকপো। লিভারপুলের জার্সিত এই ডাচ ফরোয়ার্ডের এটি প্রথম গোল। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে লিভারপুল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছেই রেখেছে তারা।বিপরীতে ব্যবধান কমানোর কোনো সুযোগই পায়নি শন ডাইকের দল। এই জয়ে ২১ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের নয় নম্বরে লিভারপুল। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের ২১ ম্যাচে পয়েন্ট ৫১, দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ২২ ম্যাচে ৪৮। বিপরীতে ২২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগের ১৮ নম্বরে এভারটন।