শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
মাধবদীতে লোডশেডিং ও গরমে ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে চার্জার ফ্যানের বৃষ্টি প্রার্থনায় অঝোরে কাঁদলেন বরিশালের মুসল্লিরা আদিতমারীতে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা নওগাঁয় বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন ছড়ার পানিই ভরসা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর চকরিয়ায় একাধিক অভিযানেও অপ্রতিরোধ্য বালুখেকো সিন্ডিকেট রবি মওসুমে নওগাঁ জেলায় ৮৮ হাজার ১১০ মেট্রিকটন ভূট্টা উৎপাদনের প্রত্যাশা কটিয়াদীতে প্রচন্ড তাপ প্রবাহ, বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসস্তিকা বরিশালে দাপদাহে স্বাস্থ্য সুরক্ষার্থে শেবাচিম হাসপাতালে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা শুরু কালীগঞ্জে রাতের অন্ধকারে কৃষি জমির মাটি লুট

বিক্ষোভ-তুমুল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যুক্তরাষ্ট্র, ৪০ শহরে কারফিউ

খবরপত্র অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১ জুন, ২০২০
ছবি: এএফপি

খবরপত্র নিউজ ডেস্ক : পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে হত্যার প্রতিবাদে টানা ছয় দিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে।

বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভ ঠেকাতে অন্তত ৪০টি শহরে কারফিউ জারি হলেও তা ভেঙে রাস্তায় নেমেছে বিক্ষোভকারীরা। রোববার রাতে নিউইয়র্ক, শিকাগো, ফিলাডেলফিয়া এবং লস অ্যাঞ্জেলেসে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের সামনে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। রবিবার রাতে বিক্ষোভের একপর্যায়ে হোয়াইট হাউসের কাছেই অবস্থিত ঐতিহাসিক সেন্ট জনস চার্চে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।

এর আগে ওয়াশিংটন ডিসিরলাফায়েট স্কয়ার থেকে এক হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী মিছিল নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাসভবন হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হন। সন্ধ্যা নামার পর তারা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা আমেরিকান পতাকা ও বেশ কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেন। এসময় তাদের থামানোর চেষ্টা করে পুলিশ। সেই সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় হোয়াইট হাউস এলাকা। সংঘর্ষের একপর্যায়ে হোয়াইট হাউজের পাশেই ঐতিহাসিক সেন্ট জনস চার্চে কয়েক দফা আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

এরপর বিক্ষোভকারীরা আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার অ্যান্ড কংগ্রেস অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্গানাইজেশনের অফিসে হামলা করেন। অফিসের জানালা-দরজার কাচ ভেঙে ফেলা হয় এবং ভেতরের লবিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া ওয়াশিংটন মনুমেন্টের সামনে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড রোববার জানিয়েছে, রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ ১৫টি রাজ্যে তাদের পাঁচ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে।

ছবি-সংগৃহীত

ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভাকারীরা রোববারও হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে নিরাপত্তা কর্মীদের দিকে ঢিল ছুড়েছে। কাঁদুনে গ্যাসের শেল নিক্ষেপের পাশাপাশি ফ্ল্যাশ গ্রেনেড ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হয়েছে দাঙ্গা পুলিশকে। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

২৫ মে শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর থেকে এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্র হয়ে উঠে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চার পুলিশ সদস্যকে তৎক্ষণাই বরখাস্ত করা হয়। ফ্লয়েডের পরিবার জড়িত চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের দাবি জানিয়েছে।

ওয়াশিংটন ডিসিতে শুক্রবার রাতে হোয়াইট হাউজের বাইরে বিক্ষোভকারীরা উপস্থিত হওয়ার পর পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষায় তাকে হোয়াইট হাউসের আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই রাতে হোয়াইট হাউজের বাইরে মানুষের বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে তা দেখে রীতিমতো ঘাবড়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সঙ্গীসাথীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মাটির তলার আস্তানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। তবে মেলানিয়া ট্রাম্প এবং ব্যারন ট্রাম্পকেও তার সঙ্গে সেখানে পাঠানো হয়েছিল কিনা তা এখনও অস্পষ্ট।

প্রায় ঘণ্টাখানেক মাটির তলায় ঘাপটি মেরে থাকতে হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। বাঙ্কার থেকে তাকে ওপরে তোলার পরেও নাকি বেশ আতঙ্কেই ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এদিকে ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ক্রমেই লুটপাট আর সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে। শনিবার রাতে বিক্ষোভের আড়ালে লস অ্যাঞ্জেলসে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। শহরের বেশ কয়েকটি মার্কেট ও সুপারশপের গেট ভেঙে লুটপাট করা হয়েছে।

শনিবার বেভারলি হিলস ও ফেয়ারফ্যাক্সে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। মেলরোজ অ্যাভিনিউয়ে একটি এটিএম বুথ ভেঙে সেটি নিয়ে যেতে দেখা গেছে লুটেরাদের। অন্যরাও বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুর করেছেন। শহরের গ্রুভ এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

এমআইপি/প্রিন্স/এমআই




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com