সুস্থ জীবন যাপন করতে প্রকৃতিকে রক্ষার আহবান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রনালয় সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। তিনি বলেন, গাছ দিয়ে দুর্যোগ মোকাবেলা করা যায়। সুস্বাস্থ্যের জন্য গাছের সাথে মানুষের সুসম্পর্ক রয়েছে। দেশে ৩০ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। অথচ মানুষ বনভূমি দখলে নিয়ে যাচ্ছে। বসতি স্থাপন করা হচ্ছে। কাটা হচ্ছে পাহাড়। অবৈধভাবে পাহাড়ি ছরা, জিরি ও খাল থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে তা আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য অভিশাপে পরিণত হবে। টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় বন নির্ভরশীল দারিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে জীবিকা উন্নয়ন তহবিল ও বন্য হাতির আক্রমণে নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এসব কথা বলেন। ১৭ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেলে লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ফরেস্ট রেঞ্জ অফিস চত্বরে আয়োজিত উক্ত চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস। চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজনে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের অধীন ৫টি রেঞ্জের আওয়তায় ৩৩৩জন সুবিধাভোগীর নিকট ৮৩ লাখ ৯১ হাজার ৬শ টাকার চেক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আমির হোসাইন। তিনি বলেন, বন ধ্বংস করছে মানুষ। ফলে আশ্রয়স্থল ও খাদ্য হারাচ্ছে বন্যপ্রাণী। খাদ্যের জন্য লোকালয়ে হানা দিচ্ছে বন্য হাতি। তাই বন এলাকার মানুষজনকে নিয়ে বন সংরক্ষণের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বন সংরক্ষণ করা হলে বনা ল ফিরে পাওয়া যাবে, রক্ষা পাবে পরিবেশ। বন ও পাহাড় উজাড় হলে পানির স্তর নিচে চলে যাবে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ উল্যাহ, ঢাকা আহসানিয়া মিশনের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, বন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত সংগঠনের পক্ষে সাতকানিয়া আলীনগরের আবুল হোসেন, লোহাগাড়া চুনতি সাতগড় এলাকার পারভীন আক্তার ও বারবাকিয়ার সেতারা বেগম প্রমুখ। ঢাকা আহসানিয়া মিশনের সহযোগিতায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগীরা ছাড়াও দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন, বান্দরবানর হক মাহবুব মোরশেদ , লামা,আরিফুল হক বেলাল, রাঙ্গামাটি বন সংরক্ষক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরী, পদুয়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মনজুর মোরশেদসহ পাঁচ রেঞ্জের কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহ এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।