সৈয়দপুরে রেলকারখানার আধুনিকায়নসহ ক্যারেজ(বগি) তৈরির জন্য আরো একটি কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এজন্য প্রকল্প প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া চিলাহাটি থেকে মংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথেরও উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে এটি সম্পন্ন হলে এই এলাকার উৎপাদিত পণ্য রেলপথ ব্যবহার করে নিয়ে যাওয়া সহজ হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলফামারী শিল্পকলা অডিটোরিয়ামে সাংবাদিকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ প্রণোদনা হিসেবে দশ হাজার করে টাকার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি আরো বলেন আগামী বছরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস কিংবা মহান বিজয় দিবসে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে পুনরায় রেল চলাচল উদ্বোধন করা হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে এর উদ্বোধন করবেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অংশে রেলপথ নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশ অংশের কাজ শেষ হবে। এতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুর প্রধান আলোচক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম, পিপিএম, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক জনকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মেহেদি হাসান বক্তব্য দেন। জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন দৈনিক জনকণ্ঠের তাহমিন হক ববি। মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, করোনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন এবং করোনাকে সামনে রেখে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কাজ করছেন। করোনা দুর্যোগে পেশাজীবীরা যেভাবে মানুষকে সচেতন করা এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় ঝুঁকি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন তাদের তিনি ভুলেন নি। উপহার হিসেবে প্রণোদনা ঘোষণা করে উৎসাহিত করেছেন। যার মধ্যে সাংবাদিকরাও রয়েছে। গণমাধ্যম কর্মীদের পাশে থেকে তাদের মুল্যায়ন করে ফ্রন্টলাইনের কর্মী হিসেবে চিহিৃত করেছেন। পরে নীলফামারী জেলার ৭১জন সংবাদকর্মীকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সহায়তায় ১০হাজার করে সাত লাখ দশ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর তিনি।