পাকিস্তানের বর্তমান হেড কোচ সাকলাইন মুশতাক ও ভারতের মাস্টার ব্লাস্টার ক্রিকেটার শচিন টেন্ডুলকারের ব্যাট-বলের দ্বৈরথের কথা সবারই জানা। সাকলাইন তার খেলোয়াড়জীবনে শচিনকে স্লেজিং করার একটি গল্প বলেছেন। সাকলাইনের স্লেজিংয়ের জবাবও দেন মাস্টার ব্লাস্টার। কী হয়েছিল দুই দেশের দুই তারকার মধ্যে? একটি পডকাস্টে সাকলাইন ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন।
সাবেক পাকিস্তানি অফ স্পিনার বলেছেন, ‘একবার শচিনের সাথে আমার একটা ঘটনা ঘটেছিল। আমরা কানাডায় গিয়েছিলাম খেলতে। ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলে আমি কানাডায় গিয়েছিলাম। আমার বয়স তখন বেশি নয়। নিজের বোলিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। সরলও ছিলাম। কাউন্টি খেলার পরে আমি একটু একটু কথা বলা শিখেছিলাম। শচিন অত্যন্ত বুদ্ধিমান ক্রিকেটার। আমার প্রথম ওভারে শচিন বিশেষ কিছু করতে পারেনি। তাকে স্লেজিংও করেছিলাম। কড়া কিছু কথা বলে ফেলেছিলাম। শচিন আমার কাছে এগিয়ে এসে অত্যন্ত ভদ্রভাবে বলল, ‘সাকি, আমি ভাবতেই পারিনি তুমি এভাবে বলবে। তুমি যে কথাগুলো বললে তা তোমার সাথে যায় না। আমার মনে হয় তুমি অত্যন্ত ভদ্র একজন মানুষ।’
শচিনের কথা সাকলাইনকে এমন ভাবে বিদ্ধ করেছিল যে পাকিস্তানের সাবেক অফ স্পিনার পরের কয়েকটি ওভার কেবল শচিনে কথা নিয়েই ভেবে চলেন। সাকলাইন যখন সম্বিত ফিরে পান তখন বুঝতে পারেন শচিন সেট হয়ে গিয়েছেন। সেই পুরনো অধ্যায় সম্পর্কে সাকলাইন বলে চলেন, ‘এটাই ট্যাকটিক্স। কেউ যদি ভদ্রভাবে কথা বলে, তাহলে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা বেশি করে মানুষ। আমি নিজের জগতে ছিলাম। শচিনের কথাগুলো নিয়ে ভেবেই চলি। শচিন পরের চার-পাঁচ ওভারে আমাকে কেবল একটা বাউন্ডারি মেরেছিল। যখন ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে শচিন আমাকে বাউন্ডারি মারল, তখন আমি নিজের গালেই থাপ্পর মেরে বসি। আমি বুঝতে পারলাম শচিন আমার সাথে খেলেছে। আমাকে ফাঁদে ফেলেছে। ওই সময়ে শচিন ক্রিজে পুরোপুরি জমে গিয়েছিল। আমার আর কিছুই করার ছিল না। পরে সন্ধ্যায় শচিনের সাথে আমার হোটেলে দেখা হয়েছিল। আমি শচিনকে বললাম, তুমি খুব চালাক। শচিন হেসে ফেলে। ব্যাটের মাধ্যমে নয়, কথা দিয়ে শচিন কত সহজে আমাকে ফাঁদে ফেলেছিল, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।’ সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন