ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে কুকুরে কামড়ের ভ্যাকসিনের সরবরাহ নেই। এতে নানা বিড়ম্ভনা ও ভুগান্তির শিকার হচ্ছে কুকুরের কামড়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। উপজেলা পর্যায়ে এই ভ্যাকসিনের সরবরাহ না থাকায় অতিরিক্ত দাম দিয়ে বাহিরের ঔষধের দোকান থেকে কিনতে হচ্ছে এ ভ্যাকসিন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে গরিব ও অসহায় পরিবারের রোগীরা টাকার অভাবে কুকুরে কামড় দেওয়ার পরেও ভাকসিন দিতে পারছে না। এতে করে কুকুরে কামড় দিলে কমপক্ষে ৪ টি ভ্যাকসিন দিতে হলেও গরীব অসহায় রোগীরা ভ্যাকসিন না নিয়ে জলাতঙ্ক রোগের ঝুকি বাড়াচ্ছে বলে মনে করেন অনেকে। গত শুক্রবার সকালে উপজেলার লাঙ্গলজোড়া গ্রামের রাসেল মিয়ার ছেলে তামিম(৮)কে কুকুরে কামড় দিলে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসে। এরপর কুকুরে কামড় দেওয়া রোগীকে ৪ টি ভ্যাকসিন দিতে হবে বললেন কর্মরত চিকিৎসক। রাসেল মিয়া জানান, চিকিৎসক তাকে বাহিরের ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন আনতে বলেন। তিনি গরিব মানুষ বলার পরও ডাক্তার তাকে জানান হাসপাতালের ভিতরে কুকুরে কামড়ের ভ্যাকসিনের সরবরাহ নেই। এরপর অন্যের থেকে ধার করে টাকা নিয়ে তিনি বাহিরের ফার্মেসি থেকে ৪ টা ভ্যাকসিন ২ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন। চিকিৎসা নিতে আসা সোহেল তালুকদার নামে এক ব্যাক্তি জানান, আমি ৩ জন রোগীর জন্য হাসপাতাল থেকে কুকুরের কামড়ের ভ্যাকসিন আনতে চেয়েছিলাম কিন্তু সরবরাহ না থাকায় পাইনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে পর্যাপÍ পরিমানে ভ্যাকসিন থাকে না। যেগুলো আসে তা কয়েকদিনে শেষ হয়ে যায়। ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাইদ বলেন, জেলা হাসপাতালে কুকুরে কামড়ের ভ্যাকসিন থাকে কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে তা সরবরাহ থাকে না। এমন রোগী আসলে আমরা জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই।