রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ অপরাহ্ন

ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে জনগণকে একদলীয় শাসনে বন্দী করে রাখা হয়েছে : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ক্ষমতাকে চিরস্থায়ীভাবে আঁকড়ে ধরার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রের নিষ্ঠুর বেড়াজাল দিয়ে একনায়কতন্ত্র ও একদলীয় শাসনের মাধ্যমে জনগণকে বন্দী করে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করে তার সমাধির ওপর বর্তমানে একটি বিভিষিকাময় শাসন বিদ্যমান রয়েছে। যার নমূনা দিনের ভোট রাতে হয় অথবা বিনাভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। তথাকথিত উন্নয়নের নামে শোষণ, বঞ্চনা, লুটপাট ও অত্যাচারের এক দুঃসহ নব্য ফ্যাসিবাদ আজ জনগণের বুকের ওপর চেপে বসেছে। গতকাল শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে “গণতন্ত্র দিবস” উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি জনগণের প্রবল অনুরাগের কারণেই রাষ্ট্র পরিচালনার পদ্ধতি হিসাবে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অনেক রক্ত ঝরেছে এদেশে। স্বাধীনতার পর জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসন-ব্যবস্থা কায়েম করা হলে এ দেশের মানুষ তা মেনে নেয়নি। বাংলাদেশের জনগণের প্রাণপ্রিয় নেতা শহীদ জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। জনগণকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বাক-ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ সব নাগরিক অধিকার। এরপর এরশাদের স্বৈরশাসন চেপে বসলে এদেশের মানুষ প্রতিবাদ-মুখর হয়ে ওঠে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছাত্র, তরুণ, পেশাজীবীসহ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রের জন্য আপোষহীন সংগ্রাম শুরু করেন। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা বুকের রক্ত ঢেলে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনে। কিন্তু দুর্ভাগ্য এদেশের মানুষের। তারা রক্ত ঢেলে দিয়ে গণতন্ত্র এনেছে। কিন্তু বারবার সেই গণতন্ত্র এবং এদেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব বলেন, ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমান জড়িত হলে আপনাদের আন্দোলনের ফসল মঈনুদ্দীন-ফখরুদ্দীনের সরকারের সময়ও তদন্ত শেষে অভিযোগপত্রে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না কেন? মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকার চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম কেন দেয়নি ? আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আইন-আদালত কব্জার মাধ্যমে তারপর তার নাম দিতে হলো। ২১ শে আগষ্ট সংক্রান্ত মামলায় ৬ বার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল করা হয়েছে।
সর্বশেষ ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতা কাহার আকন্দকে অবসর থেকে ডেকে নিয়ে এসে এই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। চুক্তিভিত্তিক তদন্তকারী কর্মকর্তা কাহার আকন্দ কর্তৃক তথাকথিত তদন্ত কার্যক্রম চালাতে গিয়ে সরকারি অনেক দলিল দস্তাবেজ হয় গায়েব অথবা সৃজন ও পরিবর্তন করা হয়েছে। এই কর্মকর্তা শুধুমাত্র মুফতি হান্নান নামের একজন ব্যক্তিকে ৪১০ দিনের বেশি সময় রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে তার মুখ থেকে বের করানো হয় তারেক রহমানের নাম। তবে পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি আদালতে গিয়ে নিজেই তার বক্তব্য প্রত্যাহারের আবেদন করেন। যে খবর শীর্ষ জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। আর্শ্চযের বিষয় হলো, যেই একজন মাত্র ব্যক্তির মুখ থেকে জোরপূর্বক নাম বের করে ২১ আগস্ট মামলায় তারেক রহমানকে জড়ানো হয়েছে এই মামলার চূড়ান্ত রায় হবার পূর্বেই অন্য একটি মামলায় ওই মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এটি কি স্বাভাবিক ঘটনা ?




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com