সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশী গার্মেন্টসের রফতানি বাড়ায় ভারতীয়দের আপত্তি নকলায় বিএনপির ৪ নেতানেত্রীকে বহিষ্কার পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য ১২ দিনে পানিতে ডুবে ১২ শিশুর মৃত্যু অর্থবছরের ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে: অর্থমন্ত্রী চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধের মাটি ইটভাটায় ব্যবহারের অভিযোগ বরিশালে ৮ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর অভ্যন্তরীন ও দুরপাল্লার বাস চলাচল শুরু : অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আপনাদের সহায়তায় সুস্থ জীবন চাই শ্রীমঙ্গলে সদ্যপ্রতিষ্ঠিত নূরে মদিনা মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও লেখাপড়ার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা ফুলপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবের মিছিল

রায়গঞ্জে ভূপরিস্থ পানি ব্যবহারে সেচের এরিয়া বাড়ছে

প্রদীপ কুমার ভৌমিক (রায়গঞ্জ) সিরাজগঞ্জ
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) পাবনা-নাটোর-সিরাজগঞ্জ জেলার ভূপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এতে পুনঃ খননকৃত খালে প্রবাহমান পানি থেকে এলাকায় সেচের এরিয়া বাড়ছে। বিএডিসি রায়গঞ্জ (ক্ষুদ্র সেচ) জোন অফিস জানায়, সম্পাদিত ও চলমান কাজগুলো হচ্ছে, উপজেলায় মোট প্রায় ৩০ কিঃ মিঃ খাল পুনঃ খনন। ফলে ৯০ হেক্টর জমির জলাবদ্ধতা দুরীকরণ এবং আবাদের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও ভূপরিস্থ’ নদীর পানি ব্যবহার করে ঘুরকা, ধানগড়া, ও চান্দাইকোনা ইউনিয়নে এলএলপি পাম্প স্থাপনের মাধ্যমে স্কীম চালু করা হয়েছে। ফলে ২৫০ হেক্টর অনাবাদী জমি আবাদের আওতায় এসেছে। জোন এলাকায় প্রায় ৪০ টি ১০০০ মিটার ও ৬৫টি ৫০০ মিটার ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা নির্মাণ হচ্ছে। এতে প্রায় ৩০% পানির অপচয় রোধ হবে এবং এ পানি অতিরিক্ত ৩০% জমিতে সেচ দেয়া সম্ভব হবে। ঘুরকা ইউনিয়নের রয়হাটি গ্রামের কৃষক সোলায়মান আলী বলেন, খালের পানির মাধ্যমে সেচ কাজ করায় খরচ অনেক কমে গেছে। ধানগড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজ উদ্দিন খান বলেন, খালে পানির রিজার্ভ বাড়ালে পানির স্তর নি¤œমুখি হওয়া থেকে রোধ করা সম্ভব হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের ০৬টি মাঝারি ও ছোট আকারের হাইড্রোলিক ট্রাকচার (ছোট কালভার্ট) নির্মাণের ফলে কৃষিপণ্য পারাপার সহজ হয়েছে। উপজেলায় ১৫ টি অচল গভীর নলকূপ সচল করার মাধ্যমে ২২০ হেক্টর অনাবাদী জমি আবাদের আওতায় আনা হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত প্রায় ৪০০ মেঃ টন ফসল উৎপাদিত হবে। ভূপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচের কাজ করলে পর্যায়ক্রমে পানির স্তর নি¤œমুখী হওয়া রোধ হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র দাবি করছে। বিএডিসির রায়গঞ্জ জোনের সহকারী প্রকৌশলী মো. মোছাদ্দেক হোসেন এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের বলেন, এ প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, এক ফসলি জমি তিন ফসলিতে রূপান্তর করা, ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা নির্মাণের মাধ্যমে অনাবাদী জমি আবাদী জমিতে রূপান্তর করা। ফসল পারাপারে হাইড্রোলিক ট্রাকচার নির্মাণ করা। প্লাবিত জমি উদ্ধার করা, অচল গভীর নলকূপ সচল করার মাধ্যমে সেচের আওতা বৃদ্ধি ও ভূপরিস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে সেচের খরচ হ্রাস করা। এ প্রকল্পে রায়গঞ্জ এলাকায় মোট ব্যয় হবে প্রায় ১৫ কেটি টাকা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com