জন্ম থেকেই কষ্টের জীবন অতিবাহিত করছি মাটির দিকে মাথা নিচু করে কথাগুলো বলেন, হতভাগা লিংকন বাস্ক। লিংকন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নের আংড়া আদিবাসী গ্রামের দিন মজুর কর্নেলিউস বাস্কের ছেলে। জন্মের পর থেকেই লিংকন দূরারোগে এক চোখ হারায় শুধু তাই নয় কপাল ও চোখ জুড়ে বেরিয়েছে টিউমার। লিংকনের বাবা বলেন, ছেলে আমার ভালোই জন্মগ্রহন করেছিল। দেড় বছর বয়সে বাম চোখে ঘা হয় এবং চোখ দিয়ে সর্বক্ষণ পানি পরত। চোখ ফুলে যায় ব্যথা হওয়ার কারনে শিশু বয়সে লিংকন খুব কান্নাকাটি করত। এক ফাদার নিজের অর্থে ডাক্তারের পরার্মশে চোখ অপসারন করা হয়। অপারেশনের পরে চোখ দিয়ে পানি পড়া বন্ধ হয় ফুলাও কমে যায় ব্যথা না করায় লিংকন আর কান্নাকাটি করে না। এক চোখ নিয়ে ভালোই ছিলো কিন্ত ৪ বছর বয়সে ওই চোখের উপর ও কপালে ছোট-ছোট টিউমার বের হয়। গ্রামের স্কুলে লিংকনকে ভর্তি করে দেওয়া হলেও টিউমার হওয়ায় লজ্জায় সে পড়ালেখা বন্ধ করে সর্বক্ষণ বাড়িতে শুয়ে বসে থাকত। টিউমারগুলো অপারেশন জন্য ডাক্তার দেখালে ডাক্তার বলে, অল্প বয়সে অপারেশন না করে বয়স বেশি হলে ভালো হবে। ছেলের বয়স বেশি হলে ১৭ সালের দিকে ওর্য়াল্ড ভিশনের খরচে ঢাকায় মেডি এইড হাসপাতালে অপারেশনে টিউমারগুলো কেটে দেয়। কয়েকদিন পর আবার চোখের উপর কপাল জুড়ে টিউমার বের হয়। ওর্য়াল্ড ভিশন একই হাসপাতালে পর পর ৪’বার অপারেশন করে। তবে ডাক্তার বলেছিল পঞ্চম বার অপারেশন করলে নতুন আর টিউমার বের হবে না। কিন্ত বিধি বাম পঞ্চম বার অপারেশনের আগে পাঁচবিবি থেকে ওর্য়াল্ড ভিশন অফিস বন্ধ করে দেয়। দিন মজুর কর্নেলিউস বাস্কের বলেন, টাকার অভাবে আর ছেলের অপারেশন করতে পারিনি। লিংকন বলেন, ছোটবেলা থেকেই কষ্টের জীবন যাপন কাটাচ্ছি। কারন এমন অবস্থায় রোদে থাকতে পারিনা চোখ সর্বক্ষণ প্রচন্ড ব্যথা করে বাবার হোটেলে বসে বসে খাই। বাবা-মা এখন বেঁচে আছে তারা খাওয়াচ্ছে তারা যখন মারা যাবে তখন আমার কি হবে সেই চিন্তাই করি। এখন মনে হয় সৃষ্টিকর্তা কেন আমায় এ দ্রুরারোগ দিলো এমন জীবন আমি চাই না। দীর্ঘশ্বাস ফেলে লিংকন বলেন, এ পৃথিবী হয়ত আমায় চায় না। আমার চিকিৎসা করার মত বাবা-মার সার্মথ নাই একারনে আপনাদের সহায়তায় আমি নতুন সুস্থ্যজীবন ফিরে পেতে চাই। (লিংকনের বাবার বিকাশ নম্বর=০১৭৫০-১২৫১৩৯)।