চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে মোবাইলে আর্থিক সেবার (এমএফএস) মাধ্যমে এক লাখ ৫৯৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। একই সময়ে গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ১৩৭ জন। তাদের মধ্যে সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ছয় কোটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছিল ৮৯ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা, আগস্ট মাসে কিছুটা কমে লেনদেন হয় ৮৭ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে ৮৭ হাজার ৬৩৫ কোটি, অক্টোবরে ৯৩ হাজার ১৩ কোটি, নভেম্বরে ৯২ হাজার ১২৫ কোটি এবং ডিসেম্বরে লেনদেন হয়েছিল ৯৬ হাজার ১৩২ কোটি টাকা। চলতি বছরের প্রথম মাস ও অর্থবছরের সপ্তম মাস জানুয়ারিতে এক লাখ ৫৯৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
আলোচিত মাসে (জানুয়ারি) এমএফএস সেবার মাধ্যমে মোট লেনদেন হওয়া ১ লাখ ৫৯৩ কোটি টাকার মধ্যে এমএফএস সেবায় টাকা জমা হয়েছে ৩১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা, উত্তোলন হয়েছে ২৮ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা। গ্রাহকদের নিজেদের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ২৮ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা, কেনাকাটায় খরচ হয়েছে তিন হাজার ৭৭২ কোটি টাকা।
এছাড়া একই সময়ে সরকারি ভাতা দেওয়া হয়েছে এক হাজার ১৪৪ কোটি টাকা, বেতন-ভাতা পরিশোধ হয়েছে দুই হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা, মোবাইল রিচার্জ করা হয়েছে ৯০৫ কোটি টাকা এবং পরিষেবা বিল দেওয়া হয়েছে এক হাজার ৯৬১ কোটি টাকা। জানুয়ারি শেষে এমএফএস সেবায় গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ১৩৭ জনে। এর মধ্যে সক্রিয় গ্রাহক প্রায় ৬ কোটি। গত বছরের জুন শেষে এমএফএস সেবায় হিসাব সংখ্যা ছিল ১৭ কোটি ৮৬ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪২টি। অর্থাৎ সাত মাসে হিসাব বেড়েছে এক কোটি ৫৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৯৫টি। আর গত ডিসেম্বর শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৯ কোটি ১০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৩টি। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে এ ধরনের হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪টি। বর্তমানে সারাদেশে এজেন্ট রয়েছে ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ১১২টি। দেশে এমএফএস সেবার যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালের মার্চে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক প্রথম এ সেবা চালু করে। এর মাধ্যমে ন্যানো লোন, মাসিক স য় সেবা, পরিষেবা বিল পরিশোধ, সব ধরনের টিকিট কেনা, অনলাইন, অফলাইনসহ সব ধরনের লেনদেন মুহূর্তেই করা যাচ্ছে।