‘খন্দকার মোশতাক আহমেদ’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক প্রতিযোগী ছিলো বলে মন্তব্য করেছেন জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ হাফিজুর রহমান স্বপন। গত ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সদর উপজেলার নরুন্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।বঙ্গবন্ধু হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত খন্দকার মোশতাককে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রতিযোগী উল্লেখ করে তাঁর দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হবার পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ২৪ মিনিট ৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপনকে বলতে শুনা যায়,খন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতি প্রতিযোগী ছিলো, ছিলো কি না? বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা মোশতাক সরকারে যোগ দিয়েছিল বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন তিনি।নরুন্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ এম এ মান্নান খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান মুক্তা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত নরুন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানসহ বেশ কয়েকজন নেতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খন্দকার মোশতাকের কাতারে টেনে আনার বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপন বলেন, রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ছিলো, ইতিহাস তাই বলে।এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ এবং আওয়ামী লীগের এই নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান দলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা।