জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে এক নেশাখোর কর্তৃক মসজিদের ইমামকে লাঞ্চিত করা এবং মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ই রমজান (৭ এপ্রিল) বিকেলে তৌহিদী মুসলিম জনতার ব্যানারে বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের সর্দারপাড়া বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মডেল থানার সামনে এসে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আরিফ খান রাসেল, দেওয়ানগঞ্জ পৌর বাজার মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি আক্রামুজ্জামান। এ সময় শত শত লোক বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে এবং অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। বিক্ষোভ চলাকালে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল চন্দ্রধর, সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার পরামর্শ দেন, আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভকারীরা চলে যায়। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,পূর্বে ধর্মীয় কিছু বিষয় নিয়ে নেশাখোর জাকিরের সাথে ইমামের বিরোধ ছিল, জাকিরের ব্যাবহারে মুসল্লীদের ভেতর ক্ষোভ ছিল, সে নেশাকরে মসজিদ এরিয়ায় মাতলামী করত। তাদের অভিযোগ কয়েকদিন আগে সে মসজিদের দানবাক্সে পেশাব করে রেখেছিল। গত ৬ এপ্রিল রাত ৮ ঘটিকার দিকে সর্দারপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মুফতি নুর মোহাম্মদ সোহাগ নামাজের ইমামতি করার জন্য মসজিদের দিকে যাচ্ছিল, পাশের বালুর মাঠে জাকির তার দুই সহযোগী সহ তার গতিরোধ করে এবং বলে আপনি ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করছেন কেন? তখন ইমাম বলে আমি নামাজ পড়াই এটা আমার দায়িত্ব ,এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জাকির ইমামকে মারার হুমকি দেয় ,ইমাম দ্রুত স্থান ত্যাগকরে মসজিদে চলে যায় সে উপস্থিত মুসল্লীদের সব খুলে বলে, বিচার না পেলে ইমামতি ত্যাগ করবেন বলে তাদের জানিয়ে দেয়। এ সময় মুসল্লীরা উত্তেজিত হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ কয়েকজন জাকিরের বাড়ী ঘরে হামলা এবং ভাঙচুর চালায়, ঘটনাস্থলে পুলিশ চলে আসে। এ ঘটনায় সর্দারপাড়া বাজার জামে মসজিদের ইমাম মুফতি নুর মোহাম্মদ সোহাগ বলেন,গতকাল ৬ এপ্রিল রাত ৮ ঘটিকার দিকে আমি এশার নামায পড়ানোর জন্য মসজিদে যাচ্ছিলাম তখন জাকির হোসেন তার দুই সহযোগী সহ আমাকে পথরোধ করে, গালাগালি করে আমাকে মারার হুমকি দেয় এবং আমার গলা চেপে ধরে, আমি বিষয়টি মুসল্লীদের জানিয়েছি তাদের বিচার দিয়েছি । তিনি আরো অভিযোগ করেন, সে একজন নেশাখোর প্রায় সে ধর্মীয় কাজে বাঁধার সৃষ্টি করে, দুদিন আগে সে নেশা করে এসে মসজিদকে অপবিত্র করেছিল, তারা সেহেরীর ডাকাডাকিতেও বাধা দেয়। অভিযুক্ত জাকিরের পিতা নাদু বেপারীর কাছে ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছেলে নেশা করে, আমি তাকে মানুষ করতে পারি নাই, তবে সব অভিযোগ সত্য নয়, ঘটনার সময় সে ছিল না, ঝালরচর ছিল, তারা আমার বাড়ী ঘর ভাঙচুর করেছে। আমার ছেলের সাথে তাদের রাজনীতির বিরোধ ছিল তারাই এসব করাইছে। বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী ইসলামী আন্দোলন দেওয়ানগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক আরিফ খান রাসেল বলেন, সে আল্লাহর ঘর মসজিদকে অপবিত্র করেছে এই আন্দোলনকে আমরা সমর্থন করেছি এবং জাকিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল চন্দ্রধর জানান, ঘটনার ব্যাপারে অবগত হয়েছি লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।