রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩০ অপরাহ্ন

২,১০০ যুবকের কর্মসংস্থান ও আর্থিক উন্নয়নে পাশে দাঁড়ালো স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-ইউসিইপি

খবরপত্র প্রতিবেদন
  • আপডেট সময় রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৩

সুবিধাবঞ্চিত যুবকদের আর্থিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থান হারানোর বিরুদ্ধে লড়তে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত যৌথভাবে পরিচালিত একটি বিশেষ প্রোগ্রামের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ এবং ইউসিইপি বাংলাদেশ। উচ্চতর ও পুনঃদক্ষতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে কর্মশক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রোগ্রামটি ডিজাইন করা হয়, যার আওতায় ২,১০০ যুবককে সার্বিক সহায়তা প্রদানের জন্য বাছাই করা হয়। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এবং ইউসিইপি’র এই কর্মসংস্থান ও পুনঃদক্ষতা বৃদ্ধি প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে তাদের ইলেক্ট্রিক্যাল ইনস্টলেশন ও মেইন্টেনেন্স, এয়ার কন্ডিশনার মেইন্টেনেন্স, অটোমেটিক মেকানিক রিপেয়ার, টেইলারিং ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এবং ইউসিইপি’র এই যৌথ প্রোগ্রামটি চারটি ধাপে সম্পাদিত হয়। এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও প্যারামিটারগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই প্রোগ্রামটি ইউসিইপি বাংলাদেশ পরিচালিত বেশ কয়েকটি মূল্যায়ন ও গবেষণার উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই মূল্যায়ন এবং গবেষণাগুলো আনুষ্ঠানিক এবং অ-আনুষ্ঠানিক উভয় ক্ষেত্রেই ব্যক্তির অদক্ষতাগুলো চিহ্নিত করতে সাহায্য করেছে। বিশেষ করে, বর্তমান বাজারে চাকরি পেতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে সক্ষম করতে প্রোগ্রামটি সাজানো হয়।
প্রোগ্রাম চলাকালে অংশগ্রহণকারীদের খাদ্য ও প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়। এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য ছিল, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের লক্ষ্য অনুযায়ী ক্ষমতায়নের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা-কেন্দ্রিক সমাজ থেকে শিক্ষা, উপার্জনক্ষমতা এবং প্রবৃদ্ধি অর্জনে সাহায্য করা।
প্রথম তিনটি ধাপে ২,১০০ যুবক প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়। প্রথম ধাপে, ৯০% অংশগ্রহণকারী ইতোমধ্যেই বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে, ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন, যাদের মধ্যে ৯৩% বর্তমানে বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত। তৃতীয় ধাপে, ৮০০ জনের মধ্যে ৯০% কর্মসংস্থান হার অর্জন করেছে। চতুর্থ ধাপ চলতি বছরের মার্চে সম্পন্ন হয়। প্রোগ্রামটি সফলভাবে সম্পন্ন করার পর সাধারণত ২ থকে ৩ মাস সময় লাগে অংশগ্রহণকারীর চাকরি খুঁজে পেতে অথবা পদোন্নতি হতে। ৯১% অংশগ্রহণকারী এই পর্যন্ত সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে, এবং এই পরিমাণ আগামীতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
দীর্ঘ ১১৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকই দেশের একমাত্র বহুজাতিক ব্যাংক। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক জাতির কল্যাণে, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণে, এবং পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে দেশের বাণিজ্য ও উন্নয়ন যাত্রার দীর্ঘস্থায়ী গর্বিত অংশীদার। টেকসই ও সমতার আদর্শকে কেন্দ্রে রেখে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য ব্যাংকটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ২০২২ সালে ২৫টিরও বেশি আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।
লিন্ডসে এ্যালান চেইন ১৯৭২ সালে ইউসিইপি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে। এটি একটি বেসরকারি সংস্থা, যা কারিগরি প্রশিক্ষণ ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা (টিভিইটি) এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে স্কুল-বহির্ভূত শিশুদের শিক্ষার দ্বিতীয় সুযোগ ও প্রাপ্তবয়স্কদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com