বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা সত্যিকার অর্থেই একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। যুদ্ধ করেছিলাম সবার সমান সুযোগ তৈরির জন্য। কিন্তু একটি জবরদখলকারী সরকার অস্ত্রের মুখে আমাদের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর লেডিস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) উদ্যোগে এ চিকিৎসক সমাবেশ, দোয়া ও ইফতার মাহফিল হয়। অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে সংকটকাল পার করছে। অথচ ১৯৭১ সালে আমরা সত্যিকার অর্থেই একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। মূলত সবার সমান সুযোগ তৈরির জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। আজকে স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। একটি জবরদখলকারী সরকার অস্ত্রের মুখে আমাদের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংবিধানে যুক্ত করেছিলেন সেই বিধান এই সরকার আদালতের মাধ্যমে বাতিল করেছে। আজকে তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে নির্যাতন করা হচ্ছে। বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে দিনের পর দিন কারাগারে রাখা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই সবাই দেখেছেন যে সাংবাদিকদের হয়রানি করছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার অর্থনৈতিকভাবে দেশকে পঙ্গু করার পর এখন সারের দাম বাড়িয়েছে। এর মাধ্যমে সবকিছুর দাম আবারো বাড়বে। পরিবহন ভাড়া বাড়বে। কৃষকের খরচ বাড়বে। তারা দেশের অর্থনীতিকে তারা ফোকলা করে দিয়েছে।’
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিপীড়ন প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চিকিৎসকরা দেশের সচেতন নাগরিক। আজকে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সেটিই বলেছেন। আসুন সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি। এই সরকারকে বাধ্য করতে হবে আমাদের ১০ দফা দাবি মানতে এবং একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। যে নির্বাচনে দেশের মানুষ তাদের পছন্দের সরকার গঠন করতে পারবে।’
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা: হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ডা: মো: আবদুস সালাম ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা: মো: মেহেদী হাসানের পরিচালনায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, অধ্যাপক ডা: ফরহাদ হালিম ডোনার, আবদুল হাই শিকদার, ডা: একেএম আজিজুল হক, ডা: সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ডা: মো: রফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, কাদের গণি চৌধুরী, অধ্যাপক ডা: রফিকুল কবির লাবু, ডা: পারভেজ রেজা কাকন, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ঢাবি সাদা দলের অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ডা: শহীদুল আলম, ড্যাবের নেতাদের মধ্যে ডা: এম এ সেলিম, ডা: মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা: মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা: শহীদ হাসান, ডা: জহিরুল ইসলাম শাকিল, এ কে এম মহিউদ্দিন ভুইয়া মাসুম, ডা: শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ প্রমুখ।