বরিশালে ঈদের আগেই নতুন ধান কেটে ঘরে তুলছেন চাষীরা। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন ফলেছে। ফলে কৃষকের মুখে হাসি ফুঁটে উঠেছে। গত কয়েকদিন থেকে বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়নে আগাম রোপিত বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। উপজেলার চরাদী ইউনিয়নের চাষী খবির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, আগাম রোপিত বোরো ধান কাটা শুরু হলেও আরো ৮/১০ দিন পর পুরো দমে ধান কাটা শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহের ফলে কৃষকরা জমিতে সঠিক সময় পর্যাপ্ত পানি পেয়েছে। এছাড়া কৃষি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে থেকে কৃষকদের সবধরনের পরামর্শ প্রদান, বাজারে পর্যাপ্ত সার পাওয়ায় এবার কোনকিছুতেই কৃষকদের বেগ পেতে হয়নি। তাছাড়া এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সর্বত্রই বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে বাকেরগঞ্জ পৌর শহরসহ উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়নে হাইব্রিড বোরো, উফশী বোরো, ব্রি ধান ৭৪, ব্রি ৮৯, বিনা ১০, স্থানীয়জাতের বোরো ধানসহ মোট ৫ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। এছাড়া মৌসুমের শুরু থেকে অদ্যবর্ধি আবহাওয়া ও প্রকৃতি ধান চাষের অনুকূলে থাকায় মাঠে তেমন কোনো রোগ বালাইয়ের আক্রমণ দেখা যায়নি। উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লোচনাবাদ এলাকার শ্যামপুর গ্রামের কৃষক নুর ইসলাম মৃধা বলেন, চলতি মৌসুমে তিনি আগাম বোরো ধান রোপন করেছিলেন। যেকারণে গত তিনদিন ধরে পাকা বোরো ধান কেটে বাড়িতে তুলছেন। তিনি আরও বলেন, মাঠপর্যায়ে উপস্থিত থেকে কৃষি অফিসাররা আমাদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করেছেন। ফলে এবার আমাদের জমিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুনীতি কুমার সাহা বলেন, মৌসুমের শুরুতে সরকারিভাবে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার দুই হাজার কৃষকের প্রত্যেককে পাঁচ কেজি করে উফসী ধানের বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া তিন হাজার কৃষকের প্রত্যেককে দুই কেজি করে হাইব্রিড জাতের ধানের বীজ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি উপ-সহকারি কৃষিকর্মকর্তাগণ মাঠপর্যায়ে থেকে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদানসহ এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার উপজেলার সর্বত্রই বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।