যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই যেন শুরু করলেন ফখর জামান। মাসতিনেক আগে নিজের খেলা শেষ ওয়ানডেতে শতক হাঁকিয়ে ছিলেন তিনি, এত দিন পর খেলতে নেমে বৃহস্পতিবারও পেয়েছেন শতকের দেখা। দুবারই প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড। যদিও মাসতিনেক আগের ওই ম্যাচ জেতা হয়নি, তবে গতকাল জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। ফখরের শতকে ভর করে কিউইদের হারিয়েছে ৫ উইকেটে।
পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডিতে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। যেখানে জয় তুলে নিয়ে সিরিজে ১-০-এ এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। সেই সাথে এই জয়ে নতুন এক রেকর্ডও গড়েছে তারা, পাকিস্তানের ওয়ানডে ইতিহাসের ৫০০তম জয় ছিল এটি। অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের পর তৃতীয় দল হিসেবে তারা গড়ল এই কীর্তি।
যদিও ফখর নয়, ম্যাচে প্রথম শতকের দেখা পেয়েছিলেন ডেরিয়েল মিচেল। তার দুর্দান্ত শতকে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৮৮ তুলে নিউজিল্যান্ড। টস হেরে ব্যাট করতে নামা কিউইদের ত্রাতা ছিলেন তিনি। ডেরিয়েল ব্যতিত বলার মতো রান পান কেবল উইল ইয়ং। ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। বাকিদের কেউ ২০ এর বেশি রান করতে পারেনি। কিউইদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৪৮ রানে চ্যাড বোজ কট বিহাইন্ড হলে। তবে উইকেটের দেখা পেতে পাকিস্তানকে অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। মিচেল ও ইয়াং ১০১ বলে যোগ করেন ১০২ রান। দলীয় ১৫০ রানে ভাঙে এই জুটি। ইয়ং ফেরেন ৭৮ বলে ৮৬ রানের ইনিংস খেলে। তৃতীয় উইকেট জুটিতেও ছেড়ে কথা বলেনি কিউইরা, যোগ হয় ৭২ রান। টম লাথাম ফেরেন ২০ রান করে৷
এরপর আর দাঁড়াতে পারেনি কিউইরা, শেষ ১০ ওভারে ৬৬ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। মাঝে ৪৭তম ওভারে ১১৫ বলে ১১৩ রান করে আউট হন মিচেল। পাকিস্তানের হয়ে দারুণ বল করেন নাসিম শাহ, মাত্র ২৯ রানে শিকার করেন ২ উইকেট। সমান দুটি করে উইকেট পান হারিস রউফ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।
রান-প্রসবা রাওয়ালপিন্ডিতে ২৮৯ রানের লক্ষ্য কঠিণ হয়নি পাকিস্তানের জন্যে। একবারও পা ফসকায়নি তারা। ফখর জামান ও ইমাম উল হকের উদ্বোধনী জুটিই ম্যাচ নিয়ে আসে স্বাগতিকদের নিয়ন্ত্রণে। দু’জনের গড়েন শতাধিক রানের জুটি। ৬৫ বলে ৬০ রান করে ইমাম ফিরলে ভাঙে ১২৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জয়ের অনেকটা কাছেই পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
অধিনায়ক বাবর আজমের সাথে ৮৬ বলে ৯০ রান যোগ করেন ফখর জামান। অর্ধশতক না স্পর্শ করতে পারার আক্ষেপ নিয়ে ৪৬ বলে ৪৯ রান করে ফেরেন বাবর। তবে এর আগেই অপরপ্রান্ত থেকে ক্যারিয়ারের নবম ওয়ানডে শতকটা তুলে নেন ফখর। যদিও দলের জয় নিশ্চিত করে ফেরা হয়নি তার, দলীয় ২৫৫ রানের মাথায় ১১৪ বলে ১১৭ রান করে আউট হন এই পাক ওপেনার।
বাকি পথটা একাই সামলে দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। আগা সালমান ও মোহাম্মদ নাওয়াজের সাথে সমান ১৮ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ৯ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় পায় পাকিস্তান। ৩৪ বলে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান।