বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, লিভার জটিলতার উন্নত চিকিতসার জন্য খালেদা জিয়াকে ফের বিদেশে পাঠানো পরামর্শ দিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা। গত বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বাসায় ফেরার পর তিনি এ কথা জানান ।
ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার মূল রোগের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। দেশে যে চিকিৎসা হচ্ছে তা শুধু উপসর্গ উপশম করার জন্য। তার হৃদপি-ে এখনো দুটি ব্লক আছে। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ওষুধ দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এন্ডোসকপি করার পর মেডিক্যাল বোর্ড সুপারিশ করেছে লিভার ট্র্যান্সপ্লান্ট করা যায় এমন দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য। যত দ্রুত সম্ভব খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো দরকার।
জাহিদ হোসেন বলেন,‘উনার যে সমস্ত উপসর্গ দেখা দিয়েছিল সেগুলো চিকিৎসার গত চার থেকে পাঁচ দিন অত্যন্ত নিবিড়ভাবে দেখেছেন। চিকিৎসকরা উনাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাডাম কিছুক্ষণ আগে বাসায় ফিরেছেন। ‘ম্যাডাম আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।’ গত শনিবার ষষ্ঠবারের মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসাধীন। এছাড়াও লন্ডন থেকে তার পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান সার্বিক পরিস্থিতি দেখভাল করছেন।
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরতে বৃহস্পতিবার বিকেলে খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বের হলে বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাকে দেখতে ভিড় করেন। এ সময় খালেদা জিয়া হুইল চেয়ারে বসে হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের অভিবাদন জানান।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনি ও লিভার জটিলতাসহ বিভিন্ন সমস্যা ভোগছেন। পাঁচদিন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সন্ধ্যা ৬টা ২২মিনিটে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য় ফেরেন খালেদা জিয়া। গত ২৯ এপ্রিল শারীরিক চেকআপের জন্য মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।