উত্তর কোরিয়া বুধবার একটি সামরিক গোয়েন্দ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছিল। কিন্তু উপগ্রহটি উড্ডয়নের পর‘মারাত্বক ত্রুটি’ দেখা দেওয়ায় এটি সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম একথা জানিয়েছে। পিয়ংইয়ং-এর মহাকাশে কোনো কার্যকরী উপগ্রহ নেই এবং নেতা কিম জং উন একটি সামরিক গোয়েন্দা উপগ্রহ তৈরি করাকে তার শাসনামলের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। কারণ,তিনি ব্যক্তিগতভাবে কিছু উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি তত্ত্বাবধান করেছেন।
উত্তর কোরিয়ার মহাকাশ কর্তৃপক্ষ উত্তর ফিয়ংগান প্রদেশের চোলসান কাউন্টির সোহাই স্যাটেলাইট লাঞ্চিং গ্রাউন্ডে একটি নতুন ধরনের ক্যারিয়ার রকেট, ‘চোলিমা-১’ একটি সামরিক গোয়েন্দা উপগ্রহ ‘মালিগিয়ং-১’ উৎক্ষেপণ করেছে। মঙ্গলবার সরকারি ‘কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এিেজ এ খবর জানিয়েছে ।
কিন্তু উপগ্রহটি ‘স্বাভাবিক উড্ডয়নের সময় প্রথম পর্যায়টি আলাদা করার পরে দ্বিতীয় পর্যায়ের ইঞ্জিনের অস্বাভাবিক স্টার্টের কারণে সজোরে ধাক্কা দিয়ে’ সাগরে বিধ্বস্ত হয়।
কর্তৃপক্ষ ‘স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে প্রকাশিত গুরুতর ত্রুটিগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করবে। সেগুলো কাটিয়ে উঠতে জরুরি বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নেবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ পরিচালনা করবে।’
উত্তর কোরিয়ার জয়েন্ট চীফস অব স্টাফ বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী স্যাটেলাইটটির উৎক্ষেপণ শনাক্ত করেছে, তারা বলেছে রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পর অস্বাভাবিক উড্ডনের কারণে সমুদ্রে পড়ে গেছে।
উত্তর কোরিয়া মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছে যে, এটি ১১ জুনের আগে ‘সামরিক রিকনাইস্যান্স স্যাটেলাইট নং-১’ নামক উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে। জাপানকে তার পরিকল্পনার কথা এক দিন আগে জানিয়েছিল।
টোকিও এবং সিউল প্রস্তাাবিত উৎক্ষেপণের কঠোর সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে, পিয়ংইয়ং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে জড়িত যেকোনো পরীক্ষায় জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করবে।