কুমিল্লার তিতাসে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম সোহেল শিকদারের মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। গত শুক্রবার উপজেলার গৌরীপুর-হোমনা সড়কের গাজীপুর বাস স্টেশনে আধা ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে তারা উক্ত সড়কের এক কিলোমিটার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় সড়কের উভয়পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল এশার নামাজ পড়ার জন্য দাউদকান্দির গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে নিজ বাসা থেকে বের হওয়ার পর বাসার নিচে বোরকা পরা দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন। নিহত জামাল হোসেন তিতাস উপজেলার নোয়াগাঁও জিয়ারকান্দি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে এবং তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক। তার বাড়ি তিতাস উপজেলার নোয়াগাঁও হলেও তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েকে দিয়ে গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে ভাড়া বাসায় থাকতেন। উক্ত ঘটনায় ২ মে রাতে ৯জনের নাম উল্লেখ্যপূর্বক ৮জন অজ্ঞাতনামাসহ ১৭জনকে আসামী করে নিহতে স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় এজাহারনামীয় আসামী হলেন শাহিনুল ইসলাম সোহেল শিকদার। এরপর ৬ মে রাতে র্যাব-১১ সোহেল শিকদারকে ঢাকা থেকে আটক করে। বর্তমানে সে কারাগারে আছে। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিভিন্ন নেত্রীবৃন্দ অভিযোগ তুলে বলেন, জামাল হত্যা মামলার সাথে সোহেল শিকদার জড়িত না। তাকে আওয়ামীলীগের রাজনীতি থেকে দূরে সরানোর জন্য একটি চক্র কৌশলে আসামী করেছে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান কখন হত্যাকা-ের সাথে জড়িত থাকতে পারে না। তাই তাকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। এসময় আওয়ামীলীগের নেত্রীবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তার হোসেন নিজাম সিকদার, শাহ আলম শান্তি, রাজা মিয়া সওদাগর, মীর শওকত লিটন, মাহফুজুর রহমান শিকদার, জালাল খান, শেরে-ই-আলম, সাইদুর রহমান ভূঁইয়া, সবুজ শিকদার, হোসনেয়ারা আক্তার, লায়লা আক্তার, নার্গিস আক্তার প্রমূখ।