কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত ১৯ জুন ২৩ (সোমবার) থেকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ডালিয়া ব্যারাজের পানি পরিমাপক মোঃ নূরুল ইসলাম বলেন, গত শুক্রবার রাত থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল রাত পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ সকাল থেকে পানি বিপৎ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসফাউদ্দৌলা বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যারেজের ৪৪ টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার শঙ্কা রয়েছে। এভাবে হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারী ও লালমনিরহাটের নদীর তীরবর্তী নিচু এলাকার অনেক বসতবাড়িতে পানি ঢুঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া ফসলের ক্ষেতে পানি ঢুকার কারনে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। ভুক্তভোগী সুজা খান বলেন, হঠাৎ পানি বাড়ার ফলে গবাদিপশু গরু ছাগলের খাবার নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছি। মহিপুর এলাকার মিলন চৌধুরী বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে হঠাৎ উজানের পানি আসতে থাকে ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়। শনিবার পানি কমলেও গতকাল রাত থেকে নদীতে পানি হু-হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে গরু, ছাগল, হাস, মুরগী ও ছোট বাচ্চাদের নিয়ে বিপদে আছি। তিনি আরও বলেন আমার সমস্ত আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছি। ওষুধ ব্যবসায়ী মোঃ জাহিদ বাপ্পি বলেন, হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে আমার এলাকায় কিছু কিছু জায়গায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বন্যার হাত থেকে স্থায়ী ভাবে রক্ষা পাওয়ার জন্য নদী খননে সরকারের প্রতি আহবান জানান।