লালমনিরহাটের বড়বাড়ীতে জমে উঠেছে কোরবানীর হাট। প্রতি বুধও শনিবার গরু কেনা বেচা হয় বড়বাড়ী হাটে। হাটে নিয়ম শৃংখলা ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপত্তা জাল টাকা শনাক্তকরন মেশিন হাট কমিটির সার্বিক তদারকি এবং ক্রেতা বিক্রেতাদের কোন প্রকার হয়রানী রোধে আইন শৃংখলা বাহিনি নিয়োগ করে সার্বিক নিরাপত্তার ব্যাবস্থা গ্রহন করার কারনে কোরবানীর গরু কেনাবেচা জমজমাট ভাবে জমে উঠেছে বড়বাড়ী হাটে। আগামী ২৯জুন পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্নহাটে কোরবানীর গরু কেনা বেচা হয়। কোরবানীর গরু কেনাবেচার জন্য জেলা সদরের বড়বাড়ী,আদিতমারী উপজেলার মহিশখোচা, কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা,হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া, পাটগ্রাম উপজেলার রসুলগঞ্জহাট সহ বেশকিছু হাটে গরু ও ছাগল কেনাবেচা হয়। সরেজমিনে জেলার হাটগুলি গিয়ে দেখা যায়, কোন হাটেই নিয়ম শৃংখলার বালাই নেই।অতিরিক্ত টোল আদায়, অব্যবস্থাপনা, ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপত্তাহীনতার কারনে হাটে গরু ছাগল আমদানী তুলনামুলক ভাবে প্রতিবছরের চেয়ে অনেক কম। কিন্তু ২১জুন বুধবার বড়বাড়ী হাটে গিয়ে দেখা গেল ভিন্নচিত্র। এ হাটে হাট কমিটি ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য হাটে নিয়োগ করেছে তদারকি কমিটি। জ্বালটাকা শনাক্ত করনের জন্য বসিয়েছে মেশিন। আইনশৃংখ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে পুলিশের সহযোগিতা। শৃংখলা বজায় রাখতে হাটের প্রতিটি গলিতে রেখেছে সেচ্ছাসেবক কর্মী। এক কথায় জনসাধারন ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহন করেছে হাট কমিটি যা দারুনভাবে আকৃষ্ট করেছে ব্যবসায়ীদের। যার কারনে এ হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের সমাগম অন্যান্য হাটের তুলনায় অনেক বেশী। প্রচুর গরু ও ছাগল উঠেছে এ হাটে। জমজমাট ভাবে চলছে কেনাবেচা। তবে গরু ছাগলের দামের বেলায় ক্রেতা বিক্রেতার মতামত ভিন্ন। ক্রেতারা বলছে গতবারের চেয়ে এবারে দাম বেশী। কিন্তু বিকেতারা বলছে দাম কম। তারপরও সব মিলিয়ে বিগত বছরের চেয়ে এবারে গরু ছাগলের দামে ক্রেতা বিক্রেতারা সন্তষ্ট। লালমনিরহাট প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান,মানব সাস্থের জন্য ক্ষতিকর ওষধ ব্যবহার না করে দেশী খাবার খাইয়ে চলতি বছরে জেলায় গরু মোটাতাজা করার জন্য খামারীদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এবারে ঈদে জেলায় ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৩৩২টি গরুর চাহিদা থাকলেও প্রস্তুত রয়েছে ১ লক্ষ ৮৪হাজার ৮০৬টি। চাহিদা অনুযায়ী উদ্বিত্য রয়েছে ৪৮হাজার ৪৭৪টি। বিক্রেতারা জানান,গো খাদ্যের দাম গত বছরের তুলনায় দ্বিগুন হওয়ায় গবাদি পশু পালন ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। সে অনুযায়ী দাম কম। কিনÍু ক্রেতরা বলছে দাম বেশী। দাম বেশী হওয়ায় মাঝারী সাইজের গরুর প্রতি আগ্রহ বেশী ক্রেতাদের। নারায়নগঞ্জ থেকে গরু কিনতে আসা ব্যবসায়ী আঃ খালেক জানান প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন জেলার হাট থেকে গরু কিনে নারায়নগঞ্জ ও ঢাকায় বিক্রি করি। এবারে বড়বাড়ী হাটে এসেছি, হাটে প্রচুর মানুষের সমাগম, গরু উঠেছে প্রচুর কিন্তু দাম বেশী হওয়ায় এখনও কিনতে পারিনি তবে গরু কিনে বাড়ী ফিরব। হাটে দেশী মাঝারী এবং ছোট আকারের গরুর চাহিদা বেশী। বড় গরুর দাম আরও চড়া। তবে বড়বাড়ী হাটে নিয়ম শৃংখলা হাট কমিটির তদারকি ক্রেতা বিকেতাদের নিরাপত্তায় আমি মুগ্ধ। এখানে কোন দালাল নেই, নেই অতিরিক্ত টোল আদায় যার কারনে এখান তেকে গরু কিনে বাড়ী ফিরব ইনশাআল্লাহ। হাটকমিটির সদস্য জাফরান আলী জানান, ক্রেতা বিক্রেতারা যাতে নির্বিঘেœ গরু কেনা বেচা করতে পারে, কোন প্রকার হয়রানীর শিকার যেন তারা না হয় সে জন্য আমরা হাটে সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। জন সাধারন ও কেতা বিক্রেতারা নিরাপদে কেনাবেচা করছে।