৪২ মন ওজনের কালা তুফান নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে নাটোরের আমিরুল ইসলাম। গত কোরবানীর ঈদে বিক্রির জন্য হাটে তুললেও কাং্িখত দাম না পেয়ে বিক্রি করেননি। এবারও ক্রেতারা আশানুরুপ দাম না বলায় হতাশ আমিরুল। এবার বিক্রি করতে না পারলে পথে বসতে হবে তাকে। নাটোরের হয়বতপুরের আমিরুল জানান,চার বছর আগে ২ লাখ টাকায় ৬ মাস বয়সী হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি কিনেছিলেন তিনি।কেনার সময় গরুটির ওজন ছিল মাত্র ছয় মণ। পরে তার নাম রাখেন নাটোরের কালা তুফান। শুরু থেকেই তিনি চিড়া, গুড় ও অ্যাংকরের ভুসি খাওয়াতে শুরু করেন গরুটিকে। বর্তমানে কালা তুফান গরুটির ওজন ৪২ মন। গতবার গরুটির দাম উঠেছিল ১৫ লাখ টাকা যা তার খরচের সমান। এবারও গরুটির দাম উঠেছে ১৫ লাখ টাকা। কিন্তু যদি ২০ লাখ টাকায় গরুটি বিক্রি করতে না পারেন তাহ’লে তিনি পথে বসবেন। আমিরুলের ভাই নূর আলম ও আব্দুল হান্নান, ওহাব, রিফাত সহ প্রতিবেশীরা জানান, অনেক শখ করে আমিরুল গরুটি কিনে সন্তান ¯েœহে লালন পালন করেছেন। সব সময় তিনি তার গরুটির যতœ করেন। চার বছরে তার খরচ হয়েছে অনেক টাকা। এখন যদি সে ভাল দামে গরুটি বিক্রি না করতে পারে তাহলে তার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই যেসব সৌখিন ব্যক্তি কোরবানীর জন্য ভাল গরু কেনেন তাদের প্রতি গরুটি কেনার আহবান জানান তারা। আমিরুলের ভাতিজি নিশাত জানায়, গরুটি খুব ভাল। তারা গরুর কাছে গেলে গরু অনেক খুশি হয়। তারা সারাদিন গরুটির সাথে খেলা করে সময় কাটায়। গরুটিও তাদের খুব পছন্দ করে। গরটির পটের নিচ দিয়ে সে ও তার ভাই পাড় হয়ে গেলেও তাদের কিছু বলেনা গরুটি। গরুটির ওপর তাদের মায়া পড়ে গেছে। গরুটি বিক্রি হয়ে গেলে তাদের খুব কষ্ট হবে। আনোয়ার হোসেন, ইসমাইল হোসেনসহ গরু দেখতে আসা মানুষগুলো জানান, তারা ইউটিউবে অনেক খামারে বড় গরু দেখেছেন। কিন্তু এত বড় গরু তারা আগে দেখেননি। এই গরুটি যেমন বড় তেমনি তার চেহাড়াও সুন্দর। ৪২ কেজি ওজনের গরুটির কালো কুচকুচে এবং চকচকে গায়ের রং মানুষের দৃষ্টি কাড়ে।