মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বিশেষ সিএসআর তহবিলের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণা খাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করলো সাউথইস্ট ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা  ডেঙ্গুতে আরো ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১২৯৭ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রধান উপদেষ্টাকে সংস্কার বিষয়ে অগ্রগতি জানালেন কমিশনপ্রধানেরা বৃটেনে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন আপসানা হত্যা-গণহত্যাসহ গুমের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে ৮০টিরও বেশি অভিযোগ ৪ মহানগর ও ৬ জেলায় কমিটি অনুমোদন বিএনপির মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল জানা যাবে কখন?

সরিষা ও তিল চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ৫ জুলাই, ২০২৩

জেলার বুড়িচং উপজেলার পাহাড়পুর এলাকার কৃষকরা এক জমিতে বছরে চার ফসল করে লাভবান হচ্ছেন। এক সময়ে এ গ্রামের কৃষকরা মৌসুমে দুইবার ধান চাষ করতো। বাকি সময় জমি খালি পড়ে থাকতো। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে সেখানে সরিষা ও তিল চাষ করা হচ্ছে। ধারাবাহিক চার ফসল হচ্ছে সরিষা, তিল, রোপা আউশ ও রোপা আমন।
কৃষি অফিসের সূত্রমতে, উপজেলার পাহাড়পুর এলাকায় ৬০ বিঘা জমিতে বারি সরিষা ১৪ চাষ করা হয়। সরিষা ফসল তোলার পর ২০ বিঘা জমিতে বিনাতিল-২, বারি তিল-৪, হোমনার স্থানীয় তিল চাষ করা হয়েছে। এক জমিতে বছরে চার ফসল করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
সূত্রমতে, এ মাঠে তিল বিঘাপ্রতি ৪-৫ মণ উৎপাদন হয়। যার বাজার মূল্য ১৬-১৮ হাজার টাকা। গড়ে খরচ হয় বিঘা প্রতি ৪ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি লাভ ১২-১৪ হাজার টাকা। সরিষা বিঘাপ্রতি ৪-৫ মণ উৎপাদন হয়, যার বাজার মূল্য ১৬-২০ হাজার টাকা। গড়ে খরচ হয় বিঘা প্রতি ৪ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি লাভ ১২-১৬ হাজার। আউশ ধান বিঘা প্রতি ১৪ মণ করে ফলন হলে আয়-১৫ হাজার টাকা, ব্যয়- ১১ হাজার টাকা ধরলে লাভ হতে পারে ৪ হাজার টাকা।
স্থানীয় কৃষক রমজান হোসেন বাসসকে বলেন, রবি মৌসুমে সরিষা চাষের পর পাহাড়পুর গ্রামের মাঠের জমিগুলো পতিত থাকতো। উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের তিল চাষের পরামর্শ দেয় ও বীজ বিতরণ করে। শুরুতে তিল চাষের অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেন। তবে সকল শঙ্কা কাটিয়ে ২০ বিঘা জমিতে তিল চাষ সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে জমির পরিস্থিতি দেখে বিঘা প্রতি ১২-১৪ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় বাসসকে জানান, বোরো-রোপা আমন শস্য বিন্যাসের স্থলে সরিষা-তিল-রোপা আউশ- রোপা আমন শস্য বিন্যাসে বিঘা প্রতি অতিরিক্ত আয় সম্ভব গড়ে ২৫ হাজার টাকা। পাহাড়পুরের মোট ৮০ বিঘা জমিতে প্রতি বছর অতিরিক্ত ২০ লক্ষ টাকা অর্থনীতিতে যুক্ত হবে। দেশের তেল চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com