এশিয়ান গেমসে নারী কাবাডি অন্তর্ভুক্তির প্রথম আসরেই পদক পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১০ সালে চীনের গুয়াংজু থেকে ব্রোঞ্জ নিয়ে ফিরেছিলেন মালেকা-রূপালীরা। চার বছর পর দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচনে অনুষ্ঠিত গেমসে বাংলাদেশ পদক ধরে রাখতে পারলেও ব্যর্থ হয় সর্বশেষ আসরে। ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় হওয়া গেমসের নারী কাবাডির গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেয়ে লাল-সবুজ জার্সিধারী মেয়েরা।
যে দেশ থেকে বাংলাদেশের মেয়েরা কাবাডিতে পদক জিততে শুরু করে সেই দেশেই এবার বসতে যাচ্ছে গেমসের আরেকটি আসর। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর চীনের হ্যাংজুতে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান গেমসে পদক ফিরিয়ে আনতে মরিয়া বাংলাদেশ। গেমসের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মেয়েদের অনুশীলন করাতে এবং কিছু ম্যাচ খেলতে ভারত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে ফেডারেশন।
২৩ জন খেলোয়াড় নিয়ে গত ১৫ মে শুরু হয়েছিল নারী জাতীয় কাবাডি দলের আবাসিক ক্যাম্প। ঈদুল আজহার ৫ দিনের বিরতি শেষে আবার অনুশীলন শুরু করেছেন মেয়েরা। এখন তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভারত যাওয়ার। ভারতের মহারাষ্ট্রের রাও একাডেমিতে অনুশীলন এবং কিছু ম্যাচ খেলার জন্য বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন ২০ জন খেলোয়াড় নির্বাচন করেছে। তাদের সঙ্গে কোচ হিসেবে যাবেন বজলুর রশিদ এবং কর্মকর্তা এস এম এ মান্নান।
৬ জুলাই থেকেই ভারতের ওই একাডেমিতে বাংলাদেশের অনুশীলন শুরুর কথা ছিল। তবে খেলোয়াড়দের পাসপোর্ট তৈরি, সরকারি আদেশ (জিও) বের করা এবং ভিসা সংক্রান্ত কাজগুলো সারতে বিলম্ব হচ্ছে যাত্রায়। কাবাডি দলের সদস্যরা এখনও ভিসা পায়নি।
কোচ বজলুর রশিদ শনিবার জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘ভিসা পাওয়ার পরপরই আমরা ভারত চলে যাবো এবং অনুশীলন এবং ম্যাচ খেলে ২০ আগস্টের মধ্যে দেশে ফিরবো।’
বছরের গোড়ার দিকে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছিল কর্পোরেট নারী কাবাডি লিগ। ওই লিগ থেকে অনেক নতুন খেলোয়াড় বেরিয়ে এসেছেন। যাদের বেশ কয়েকজন জায়গা করে দিয়েছেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে।
যে ২০ জনকে ভারত সফরের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১২ জনই নতুন খেলোয়াড়। ৮ জন আছেন যারা বিভিন্ন সময়ে জাতীয় দলে খেলেছেন। কোচ বজলুর রশিদ বলেছেন, ‘নতুন মেয়েরা অনুশীলনে ভালো করছে। ভারতে গিয়ে অনুশীলন এবং ম্যাচ খেলতে পারলে ওদের অবস্থটা বোঝা যাবে। আমি বিশ্বাস করি, ভারতে অনুশীলন এবং ম্যাচ খেলতে পারলে এশিয়ান গেমসে কাজ দেবে।’
ভারত সফরের দল: কোচ: মো. বজলুর রশিদ। কর্মকর্তা: এস এম এ মান্নান। খেলোয়াড়: বৃষ্টি বিশ্বাস, স্মৃতি আক্তার, রেখা আক্তারী, হাফিজা আক্তার, দিশামনি সরকার, লাকি আক্তার, লোবা আক্তার, মেবি চাকমা, নবর্ষী চাকমা, সোমা আক্তার, আনজুয়ারা রাত্রি, লায়লা খানম, স্মৃতি আক্তার, তাহরিম, সোমাইয়া ইসলাম মিতু, রুপালী আক্তার, সুখ চাকমা, জান্নাতুল নাইম, বেবি চাকমা, ইয়াছমিন খানম।