২০১৩ ও ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জেরে দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হেফাজত নেতা মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেননি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে ৩ মাসের জন্য মামুনুল হকের জামিন শুনানি স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) করেন আদালত। গতকাল সোমবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে মামুনুল হকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী। এর আগে ৭ মে মামুনুল হকের হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এর চেম্বার জজ আদালত ‘নো অর্ডার’ দেন। আদালতে এদিন মামুনুল হকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী। গত ৩ মে ২০১৩ ও ২০২১ সালে ঢাকার পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দায়ের করা পাঁচ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে জামিন দেন হাইকোর্ট।
এর মধ্যে পল্টন ও হাটহাজারীর দুই মামলায় হাইকোর্টের জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন রাষ্ট্রপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় সেটি শুনানি হয়। মামুনুল হকের বিরুদ্ধে প্রায় ৪১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে নি¤œ আদালতে ১৩টি এবং হাইকোর্টে ৫ মামলায় পান।
২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের নামে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মামুনুল হকের দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে জান্নাতসহ মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে জান্নাতকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল। এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে সহিংসতা ও রিসোর্টকা-ে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দু’টি মামলা হয় মামুনুল হকের নামে। যেসব মামলায় জামিন পেয়েছিলেন সেগুলো- ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনায় ২০২১ সালের ২৬ মার্চের নাশকতার ঘটনার মামলা, ২৯ মার্চ রাজধানীর পল্টন থানার মামলা, ২৬ মার্চ পল্টন থানার মামলা এবং ২০১৩ সালের মে মাসে রাজধানীর হেফাজতের মহাসমাবেশের সহিংসতার ঘটনায় পল্টন থানায় ওই বছরের ৫ এবং ৬ মে’র মামলা।