সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন

বনজ কুমারের মামলায় অব্যাহতি পেলেন বাবুল আক্তার

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩

চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ এবং তা প্রচারের অভিযোগে করা মামলা থেকে পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ও তার বাবা মো: আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। একইসাথে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও বাবুলের ভাই মো: হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে নিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত চার্জশিট আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী শিশির মনির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার মামলাটি করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়। এর আগে ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) মো: রবিউল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আদালতে চার্জশিট জমা দেন। মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। চার্জশিটভুক্ত অন্য দুই আসামি হলেন বাবুল আক্তারের ভাই মো: হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো: আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া। মামলার এজাহারে পিবিআই প্রধান অভিযোগ করেন, আমার নেতৃত্বাধীন তদন্ত সংস্থা পিবিআইয়ে চা ল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্তাধীন অবস্থায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার প্রধান আসামি হিসেবে তদন্তে উঠে আসে। তদন্তকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলহাজতে থাকা বাবুল আক্তার ও বিদেশে অবস্থানরত সাংবাদিক ইলিয়াসসহ বাকি আসামিরা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত ও পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্রের আশ্রয় গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাবুল আক্তার ও অন্য আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে, খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ডকুমেন্টারি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন। যা সম্পর্কে ৪ সেপ্টেম্বরে আমি অবগত হই।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, ভিডিওতে বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে তদন্তাধীন মিতু হত্যা মামলার তদন্তকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধসহ তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ইলিয়াস হোসাইনের ভিডিওতে প্রচারিত বক্তব্যে দেশের ভাবমূর্তি এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উসকানি দেয়া হয়। এছাড়া ভিডিওতে পুলিশ এবং পুলিশের বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা পিবিআই ও বিশেষ করে আমার মান-সম্মান ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হয়েছে। যার জন্য দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে এর নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করে। পিবিআই প্রধান এজাহারে উল্লেখ করেন, ভিডিওতে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার অপপ্রয়াস করা হয়। রাষ্ট্রের হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা-বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিরও অপপ্রয়াস করেছে। এছাড়া এজাহারে ওই ভিডিও ডকুমেন্টারি বিভিন্ন তথ্য ও বক্তব্যকে মিথ্যা দাবি করে নানা প্রমাণ ও তথ্য উপস্থাপন করেন বনজ কুমার।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com