এফএমসিজি (ফাস্ট মুভিং কনজ্যুমার গুডস) বা ভোগ্যপণ্য শিল্পখাতে বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডের জায়গা দখল করে আছে ইউনিলিভার ইন্টারন্যাশনাল। অন্যদিকে বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে আর্টিসান। এ দুই ব্র্যান্ড সম্প্রতি একটি অংশীদার চুক্তি সই করেছে। চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে এখন থেকে বাংলাদেশে ইউনিলিভার ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ডের পণ্যের বিশাল সম্ভার থেকে যে কোনো পণ্যের অনুমোদিত আমদানিকারক হবে আর্টিসান। বাংলাদেশে ইউনিলিভার ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ডের পণ্যের বণ্টন (ডিসট্রিবিউশন), লজিস্টিকস এবং বিপণনে প্রধান পরিবেশক হিসেবেও কাজ করবে আর্টিসান।
২০১২ সালে যাত্রা শুরু করে ইউনিলিভার ইন্টারন্যাশনাল। বিশ্বব্যাপী ইউনিলিভার পিএলসির ব্যবসায়িক ইউনিট হিসেবে কাজ করছে ইউনিলিভার ইন্টারন্যাশনাল। সিঙ্গাপুরের প্রধান কার্যালয় থেকে বহুজাতিক সংস্থা ইউনিলিভার ইন্টারন্যাশনাল মূলত নানা ধরনের থার্ড পার্টি রপ্তানি কার্যক্রম ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে লাইফস্টাইল পণ্যের সম্ভার নিয়ে গড়ে ওঠা ব্র্যান্ড আর্টিসান গ্রাহকের কাছে মান সম্মত ও বৈচিত্র্যময় পণ্যসেবা দিতে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে চলেছে । এ বাণিজ্যিক চুক্তির ফলে বাংলাদেশের বাজারে ইউনিলিভার ইন্টারন্যাশনালের উপস্থিতি জোরদার হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশে ভোক্তাদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে অধিকহারে পণ্য আমদানিতে ’এক্সক্লুসিভ পোর্টফোলিও সুবিধা পাবে আর্টিসান। ইউনিলিভার ইন্টারন্যাশনালের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার সৈকত চৌধুরী বলেন, এ অংশীদারত্ব একটি টেকসই দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ে তোলার এবং আরও উচ্চমানের পণ্যের অনুপ্রবেশের ফলে বাংলাদেশের বাজারকে সুসংহত করার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
আর্টিসানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী আহম্মেদ রাসেল বলেন, বাংলাদেশে ইউনিলিভার ইন্টারন্যাশনালের অনুমোদিত আমদানিকারক ও প্রধান পরিবেশক নিযুক্ত হয়ে আমরা গর্বিত।
আর্টিসানের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ কামরুল হাসান ইমু বলেন, পণ্যের মান নিয়ে অটল থাকা ও বাংলাদেশের বাজার সম্পর্কে গভীর অভিজ্ঞতা থাকার কারণে ইউনিলিভার ইন্টারন্যাশনাল আদর্শ অংশীদার হিসেবে আর্টিসান ব্র্যান্ডটিকে বেছে নিয়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানের সমঝোতার মধ্যে দিয়ে ইউনিলিভার ইন্টারন্যাশনালের উচ্চমানের পণ্যগুলো বাংলাদেশের ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে। আর্টিসানের চেয়ারম্যান অনিতা গোমেজ বলেন, আমি আমাদের মূল্যবান গ্রাহকদের প্রতিও আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যারা আমাদের অনুপ্রাণিত করে চলেছেন এবং শ্রেষ্ঠত্বের জন্য আমাদের আবেগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই চুক্তি বাংলাদেশে এফএমসিজি শিল্প খাতে বিভাজন কমিয়ে এনে সত্যিকার অর্থে বিশ্বায়ন প্রতিষ্ঠা করে অর্থনীতিতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আর্টিসানের হেড অফ সেলস এসএম মাহমুদ হোসেন, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার সাদ হোসেন তপু এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।