শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::

গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো আপস করেননি আবদুস শহিদ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৩

স্মরণ সভায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ
ডিইউজের সাবেক সভাপতি আবদুস শহিদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন।
গতকাল বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিইউজে কার্যালয়ে আয়োজিত এ স্মরনসভায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, আবদুস শহিদ গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো আপস করেননি। সাংবাদিকদের রুটি রুজির প্রশ্নেও ছিলেন আপসহীন।
স্মরণসভার শুরুতে আব্দুস শহিদ ও গত মঙ্গলবার মৃত্যুবরণ করা সিনিয়র সাংবাদিক হাবিবুর রহমান খানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
ডিইউজে’র সভাপতি মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সঞ্চালনায় স্মরনসভায় বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ডিইউজে’র সাবেক সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ বাকের হোসাইন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালিন নোমানী, বিএফইউজে সিনিয়র সহসভাপতি মোদাব্বের হোসেন, বিএফইউজে সাবেক সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি একেএম মহসিন, ডিইউজে সহসভাপতি রাশেদুল হক, সাবেক সহসভাপতি বাছির জামাল ও মো. শহীদুল ইসলাম, ডিইউজে কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, ইউনিয়নের রাজনীতিতে একমাত্র ব্যক্তি ছিলো শহিদ, যার সাথে আমার কোনো মতবিরোধ হয়নি। শহিদ ও বাকের হোসেন যখন ইউনিয়নে নির্বাচিত ছিলো তখন তাদের মধ্যে যে বোঝাপড়া ছিলো চমৎকার। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দূরদর্শী এবং মেধাবী। আমাদের মধ্যে ইউনিয়নটা যারা বুঝতেন তার মধ্যে শহিদ অন্যতম।
তিনি মরহুম আবদুস শহিদের দীর্ঘ কর্মজীবনের উল্লেখ করে বলন, ইউনিয়ন এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আবদুস শহিদের দীর্ঘদিনের সহকর্মী রুহুল আমিন গাজী বলেন, একদিন সকালে তিনি বিনা নোটিশে আমার বাসায় চলে আসলেন। বললেন, আমি একটা মসজিদ ও মাদ্রাসা করতে চাই। তখন আমি দু’জনকে ফোন দিলাম। তারা তাকে সহযোগিতা করতে রাজি হলেনএবং তার প্রতিষ্ঠিত মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা আজ আমাদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
তিনি বলেন, আবদুস শহিদের অনুপস্থিতি পেশা তথা সাংবাদিক ইউনিয়নে যে শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা কখনও পূরণ হবার নয়।
ডিইউজের সাবেক সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আবদুস শহিদ ছিলেন সাচ্চা জাতীয়তাবাদী। তিনি সৎ সাহসী সাংবাদিক ছিলেন। সাংবাদিকতায় এবং একজন ভালো চীফ রিপোর্টার হিসেবে তার অনেক প্রজ্ঞা ছিলো। তিনি চৌকস ফোরাম লিডার ছিলেন। তিনি অকপটে সতয় কথা বলে ফেলতে পারতেন।
সভাপতির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম বলেন, গতকাল মঙ্গলবার আমাদের এক সহকর্মী হাবিবুর রহমান খান ইন্তেকাল করেছেন। তিনি সাংবাদিক নেতা না হলেও তার বিটে খুব জনপ্রিয় ছিলেন। আমরা তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
এসময় ডিইউজের সাবেক সভাপতি আব্দুস শহিদের স্মৃতি স্মরণ করে তিনি বলেন, আবদুস শহিদ অত্যন্ত মেধাবী ও ধৈর্যশীল মানুষ ছিলেন। তিনি যখন সভাপতি ছিলেন তখন মিটিংয়ে সকল নির্বাহী সদস্যদের কথা মনযোগ সহকারে শুনতেন। সভা চলাকালে বা ঘরোয়া আলোচনায় অনেক উত্তপ্ত পরিস্থিতি খুব ঠান্ডা মাথায় সকল বক্তব্যের উত্তর দিতেন।
ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: বাকের হোসাইন বলেন, আবদুস শহিদ খুব লিবারেল মানুষ ছিলেন। কোনো বিরোধ চরমপর্যায়ে নিয়ে যেতেন না। তাই তাকে বলতাম আপসকামী মানুষ। মোট কথায় তিনি অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান মানুষ ছিলেন। তিনি ডিইউজের কোনো বলয়ের নেতা ছিলেন না। তিনি সবার নেতা ছিলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ বলেন, আবদুস শহিদ একজন অনুকরণীয় ব্যক্তি ছিলেন। তার সম্পর্কে জেনে আমরা তাকে অনুকরণ করার চেষ্টা করবো।
ডিআরইউ’র সভাপতি মোরসালিন নোমানি স্মৃতিচারণ করে আব্দুস শহিদের ভূয়সী প্রশাংসা করেন। এসময় তিনি সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
এসময় বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষখায়রুল বাশার, ডিইউজের ক্রিড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক রফিক লিটন, দফতর সম্পাদক ইকবাল মজুমদার তৌহিদ, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য আবু বকর, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য নিজাম উদ্দিন দরবেশ, রাজু আহমেদ, এম মোশাররফ হোসেন, ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com