সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুর সিটিকরপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের মৃত্যুর পর গাজীপুর বিএনপি অনেকটাই ভাঙাচুরা অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল। এরপর গাজীপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক সোহরাব উদ্দিনের মৃত্যুর পর আরো ভেঙে যায় সাংগঠনিক চেইন অব কমান্ড। সম্প্রতি গাজীপুর মহানগর বিএনপির নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন বলে নেতাদের দাবী। অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুর বিএনপির দুই প্রশংসীত নেতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আ স ম হান্নান শাহ ও অধ্যাপক এম এ মান্নান মৃত্যুবরণ করার পর বিএনপি অনেকটাই অভিভাবক শূন্য হয়ে যায়। এরপর গাজীপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ¦ সোহরাব উদ্দিন মারা যান। অত:পর গাজীপুর বিএনপিতে অনেকটাই এলোমেলো ভাব দেখা দেয়। প্রায় দুই মাস হলো গাজীপুর মহানগর বিএনপির দুটি পদ ঘোষণা করা হয়। সভাপতি শওকত হোসেন সরকার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এম এ মান্নানের ছেলে মো: মঞ্জুরুল করিম রনি। পনের দিনের মধ্যে পুরো কমিটি ঘোষনা করার কথা থাকলেও এখনো তা করা হয়নি। সম্ভাব্য পদ পদবীর জন্য নেতারা আন্দোলন সংগ্রামে আছেন অনেকটা জোরেসোরেই। সম্প্রতি ঢাকার প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে গ্রেপ্তার হন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার সহ ১০ নেতা। বেশ কিছুদিন কারাগারে থেকে তিনি জামিন লাভ করেন। অত:পর আবার দলে সক্রিয় হন শওকত হোসেন সরকার। বর্তমানে গাজীপুর মহানগর বিএনপি আন্দোলন সংগ্রামের মাঠে ময়দানে বেশ ভালো করেই উপস্থিতি নিশ্চিত করছে। অনুসন্ধান বলছে, কেন্দ্র ঘোষিত আন্দোলন সংগ্রামে সরব এখন অনেক নেতাই। প্রতিটি দলীয় কর্মসূচিতে তাদের সরব উপস্থিতি গাজীপুর বিএনপিকে চাঙা করছে দিন দিন। গাজীপুর মহানগর বিএনপির কেন্দ্রিয় নেতা হিসেবে গাজীপুর ও ঢাকায় মাঠে ময়দানে থাকা বিএনপির কেন্দ্রিয় একাধিক নেতা গাজীপুরে নিয়মিত আসছেন। তাদের মধ্যে কেন্দ্রিয় সহ-স্বাস্থ বিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, বিএনপির কেন্দ্রিয় সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ূন কবির খান, কেন্দ্রিয় সদস্য ও কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মো: মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা: মাজহারুল আলম অন্যতম। গাজীপুর মহানগর বিএনপির সক্রিয় নেতাদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ¦ হাসান উদ্দিন সরকার, বিএনপি নেতা ডক্টর সহিদুজ্জামান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন কায়সার, বিএনপি নেতা আহাম্মদ আলী রুশদী, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার, সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনি, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মীর হালিমুজ্জামান ননী, গাজীপুর মেট্রো সদর থানা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মেহেদী হাসান এলিস, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম টুটুল, ঢাকা বিশ^ বিদ্যালয়ের জিয়া হল ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস মো: আনোয়ারুল ইসলাম, পেশাজীবী সংগঠনের নেতা অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা এডভোকেট আব্দুস সালাম, ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এইচ রহমান হাফিজ, ভাওয়াল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস সুরুজ আহম্মেদ, সাবেক কাউলতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নাজিম উদ্দিন, বিএনপি নেতা বসির আহমেদ বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা জবিউল্লাহ জবু, প্রহলাদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাইদ আকন্দ, বিএনপি নেতা আকতারুজ্জামান, সৈয়দ শামসুজ্জামান আরজান অন্যতম। বিএনপির সাধারণ ও ত্যাগী কর্মীরা বলছেন, বর্তমানে যোগ্য নেতৃত্ব আছে। তারা যদি সকলকে সাথে নিয়ে সব কমিটি করে এগিয়ে যায় তবে গাজীপুর বিএনপির ঘাঁটি ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।