দেশের একমাত্র পাহাড় সমৃদ্ধ দ্বীপটি ক্রমান্বয়ে ধ্বংস হওয়ার শঙ্কায় স্থানীয়রা। বন প্রহরীদের চোখে ধু্লি দিয়ে বা দলীয় ক্ষমতার জোরে বিরতিহীন কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সম্প্রতিক মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর জেএমঘাট সহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় কাটার অভিযোগ স্থানীয় মিঠাছড়ি এলাকার নোবেলের বিরুদ্ধে। সচেতন মহল পাহাড় কাটা নিয়ে কথা বললে তাদের দেখানো হয়, দলীয় সাইনবোর্ড ও নিজ অহমিকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ওয়াহিদ্লু কবির নোবেল শাপলাপুর হয়ে গোরকঘাটা টু জনতা বাজার সড়ক কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দেখাশোনা করে। সেসুবাদে সড়ক কাজে পাহাড় কেটে মাটি ব্যবহার করে আসছে। তবে রাস্তার নাম দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ি মাটি এবং বালি বিক্রির অভিযোগও উঠেছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে, সে বনবিভাগের বাধাও মানে না। সচেতন মহলের দাবী পাহাড় প্রাকৃতিক সম্পদ তা রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব। পাহাড়ি মাটি রাস্তা এনে সংস্কার করা কেথাও কোন পরিপত্র নেই। জীব বৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে প্রাকৃতিক সম্পদ পাহাড় কাটা বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা। শাপলাপুর বিট কর্মকর্তা নুরুল আলম মিয়া জানান, গোপন সূত্রের ভিত্তিতে পাহাড় কাটার বিষয় জানতে পেরে ওই স্থানে অভিযান চালালে পাহাড় কাটায় নিয়োজিত শ্রমিকেরা নোবেলে নাম ব্যবহার করে উল্টোপাল্টা বলে বলে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় দু’টি মাটি কাটার কোদাল ও তিনটি ঝুড়ি জব্দ করেন বনবিভাগ। তা শোনে ওয়াহিদ্লু কবির নোবেল বিট কর্মকর্তার মুঠোফোনে দলীয় সাইনবোর্ড ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা দাবী করে উচ্চ স্বরে উল্টোপাল্টা এবং হুমকি ধমকি দেয়। এমনটি জানিয়েছেন বিট কর্মকর্তা। তবে বিভাগীয় বনকর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তার নির্দেশ এ দ্বীপে পাহাড় কাটা বালি উত্তোলন করা যাবেনা। তারই ধারা বাস্তবায়ন করতে এ অভিযান পরিচালনা করেন। মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা খাঁন জ্লুফিকার আলী জানান, পাহাড় খেকো সে যে হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে। পাহাড় কাটা জামিন অযোগ্য অপরাধ। অপরাধী প্রমাণিত হলে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।