স্বপ্নের পদ্মা সেতু হয়ে প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে ভাঙায় এসে পৌঁছেছে ‘ট্রায়াল’ ট্রেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে ট্রেনটি ভাঙা স্টেশনে পৌঁছায়। এর আগে সকাল ১০টা ৭ মিনিটে ঢাকা থেকে ছাড়ে ট্রেনটি। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া স্টেশনে পৌঁছায়। এরপরই ওঠে পদ্মা সেতুতে। সবমিলিয়ে আজ ৮২ কিলোমিটার রেলপথ পাড়ি দিতে ট্রেনটির লাগলো ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট (১৩০ মিনিট)। পরীক্ষামূলক বলেই সময় বেশি লেগেছে। পুরোদমে চালু হলে আরও কম সময়ে এই দূরত্ব পাড়ি দেবে।
পরীক্ষামূলক ট্রেনটি ভাঙায় পৌঁছালে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী স্বাগত জানান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ার সময় বিপুল সংখ্যক মানুষকে রেললাইনের দুই পাশে দাঁড়িয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এটি বিকালে আবার ভাঙ্গা থেকে কমলাপুর ফিরবে। আগামী ১০ অক্টোবর ঢাকা-ভাঙা রুটে ট্রেন চলাচল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমা লের ২১ জেলার মানুষের বহুল কাঙ্ক্ষিত ট্রেনে করে রাজধানীতে আসা-যাওয়া করতে পারবেন।
পরীক্ষামূলক ট্রেন যাত্রা শুরু আগে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে দেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে শুরু হচ্ছে রেল যোগাযোগ। দক্ষিণা লের মানুষের জন্য এই রেল যোগাযোগ যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। ঢাকা-ভাঙ্গা রেল যোগাযোগ উদ্বোধনের পরে যোগাযোগ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসবে। এর সুফল সারাদেশের মানুষ পাবে। পরীক্ষামূলক এই ট্রেনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানসহ জনপ্রতিনিধি, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা আছেন। জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রায় ১৭২ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। এর প্রথম অংশ ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটারের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।