ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ও মৌলানা আসাদ আলী ডিগ্রি কলেজের সামনে বর্জ্য ফেলছে হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভা। এতে শিক্ষার্থী, প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক, শিক্ষিকা, পথচারী, যানবাহনের যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বেড়েছে। মহাসড়কের পাশ ঘেঁষেই কলেজের সামনে জমানো হচ্ছে এই বর্জ্যের স্তুপ। নাকে রুমাল চেপে কলেজে যেতে হয় শিক্ষক, শিক্ষিকা, কর্মকর্তা কর্মচারীদের। বর্জ্য অপসারণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। জানা যায়, ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভা। কাগজ-কলমে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা এটি। প্রতিষ্ঠার ২৬ বছর পেরিয়ে গেলেও বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা নেই। এক বছর ধরে সড়কের পাশেই ফেলছে পৌরসভার এসব বর্জ্য। বৃষ্টি হলেই এসব আবর্জনা নোংরা পানির সঙ্গে পাশের খালে গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে এলাকাবাসী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশ ঘেঁষেই মাধবপুর পৌরসভার মৌলানা আসাদ আলী ডিগ্রি কলেজ এলাকায় ফেলা হচ্ছে পৌরসভার সমস্ত বর্জ্য। তার পাশেই রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুৎয়ের সাব স্টেশন। আবর্জনার স্তুপ থেকে ২০০ গজ দূরেই অবস্থিত পৌরসভার একমাত্র কলেজ। যার ফলে এই ময়লার সঙ্গে বসবাস করেই দৈনন্দিন কাজ কর্ম করতে হয় ভুক্তভোগীদের। মৌলানা আসাদ আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জাহির উদ্দিন বলেন, নাকে রুমাল চেপে ধরেও কর্মস্থলে আসতে হয়। কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কয়েকবার জানিয়েছি, কিন্তু সমাধান হয়নি। কলেজ পাড়া এলাকার নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুর্গন্ধে পরিবার নিয়ে এই এলাকায় বসবাস করাটাই বড় দায়। বর্জ্য ফেলার স্থান থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত নাকে রুমাল চেপে চলতে হয় বলে জানান তারা। মৌলানা আসাদ আলী ডিগ্রি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী জানান, পৌরসভার কাজ হচ্ছে পরিবেশ সুন্দর রাখা। অথচ সড়কের পাশে ময়লা ফেলে তারাই পরিবেশ নষ্ট করছে। দুর্গন্ধে এই দিকে যেতে কষ্ট হয়। স্থানীয় বাসিন্দা মফিজ মিয়া বলেন, মহাসড়কের পাশে পৌরসভার আবর্জনা ফেলা উচিত নয়। আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট একটি খোলা স্থান নির্ধারণ করা উচিত। কলেজের কয়েকজন শিক্ষর্থীর সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা যখন বাড়িতে ফেরার জন্য কলেজ যাত্রী চাউনীতে দাড়াই ময়লার দূর্গন্ধে বেশিক্ষণ দাড়ানো যায় না। এতে অনেক কষ্ট হয় আমাদের। মাধবপুর পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান মানিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন অচিরেই ময়লা সরানো হবে। ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট একটি যায়গা পেলেই এখানে আর ময়লা ফেলা হবে না।