উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে বহনকারী একটি সাজোঁয়া ট্রেন সোমবার সকালের দিকে রাশিয়ায় ঢুকেছে। জাপানের কিওদো এজেন্সিসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিষয়টি জানিয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে তার এই সফর বলে দাবি যুক্তরাষ্ট্রের। সংবাদমাধ্যমে আসা একাধিক ছবিতে দেখা গেছে, কিম গত ১০ সেপ্টেম্বর একটি সবুজ রঙের ব্যক্তিগত ট্রেনে চেপে পিয়ংইয়ং ছাড়ার আগে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়ছেন। তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওইদিন বিকেলে রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) একাধিক সূত্রের বরাতে রয়টার্স ও বিবিসি জানিয়েছে, কিমের ট্রেন ইতোমধ্যে রুশ ভূখ-ে প্রবেশ করেছে।
২০১৯ সালেও ট্রেনে ভ্লাদিভোস্টক ভ্রমণ করেছিলেন কিম। পুরো ট্রেনটি বুলেটপ্রুফ। অনেক ভারী হওয়ায় ঘণ্টায় ৫৯ কিলোমিটারের বেগে বেশি চলতে পারে না। এদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ সফর হতে যাচ্ছে। দুই দলের প্রতিনিধির মধ্যে আলোচনা হবে।
তবে কিম জং উনের রাশিয়ায় প্রবেশ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি মস্কো। পুতিন মঙ্গলবার ভ্লাদিভোস্টক পৌঁছানোর কথা। দুই নেতার সেখানে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে। এছাড়াও একটি অর্থনৈতিক ফোরামে অংশ নিতে পারেন উ. কোরিয়ার নেতার। সম্মেলনটি বুধবার পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে। কিমের সফরকে কেন্দ্রে করে ওয়াশিংটন হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, মস্কোর সঙ্গে কোনও ধরনের অস্ত্র চুক্তি না করতে। ইউক্রেনে যুদ্ধ চলা অবস্থায় রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করলে পিয়ংইয়ংকে পরিণতি ভোগ করতে।
কিমের সফর গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বিবৃতি জানিয়েছে, সিউল বিশ্বাস করে যে কিমকে বহনকারী ট্রেন সম্ভবত গতকাল মঙ্গলবার ভোরের দিকে রাশিয়ায় প্রবেশে করেছে। দুই দেশের অস্ত্র চুক্তি হচ্ছে কিনা, এ বিষয়ে আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।