বিশাল বহর নিয়ে দিনাজপুর অভিমুখে তারুণ্যের রোডমার্চ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা জনগনকে ক্ষমতায় আনতে চাই, আমাদের একটাই লক্ষ্য জনগণের অধিকার ফিরে দিতে হবে। যদি না শুনেন, ফয়সাল হবে কোথায়? রাজপথে।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এবার কোনো ধমক-টমক খাটবে না। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। সবাই বলছে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। গতকাল শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুর ট্রাক স্ট্যান্ড মাঠে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ভোটাধিকার বঞ্চিত তরুণদের উজ্জীবিত করতে তারুণ্যের রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করল বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। সকাল সোয়া ১১টায় রংপুর বিএনপির কার্যালয়ে সামনে থেকে রোডমার্চ শুরু হয়ে পৌনে ৪টার দিকে এসে দিনাজপুরে পৌঁছায়। রংপুর থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত রোড মার্চ কর্মসূচির প্রথম দিন ছিল। রংপুর শহর থেকে যে রোডমার্চ শুরু হয়ে সেটি পাগলাপীর, তারাগঞ্জ, সৈয়দপুর বাসস্ট্যান্ড, ওয়াপদার রোড, চিরিরবন্দর ৬টি পথসভায়মধ্য দিয়ে দিনাজপুরে গিয়ে শেষ হয়। যা প্রায় ছিল ৮০ কিলোমিটার। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বারবার বলছি, এই সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। গত দুটি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারেনি। তিনি বলেন, এই দিনাজপুর আমাদের কাছে একটা তীর্থস্থান। কারণ এই খানে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জন্ম গ্রহণ করেছেন। এজন্যেই এটা আমাদের কাছে তীর্থস্থান।
বাংলাদেশের মানুষ আর বোকা ভাবা যাবে না জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এবার বাংলাদেশের মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তারা পরিষ্কার করে বলেছে, জোরে উচ্চ চিৎকার করে বলছে, এদের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের হাইকোর্ট থেকে জামিন দিলেও নিম্ন আদালতের তার জামিন বাতিল করে রিমান্ড দেন। তিনি বলেন, সমগ্র পৃথিবী বলছে বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। তাই গণতন্ত্র রক্ষায় সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। ‘সরকার নিজের ইচ্ছে মতো ডিসি, এসপি বানিয়েছেন, যাতে নির্বাচনে মাঠ শূন্য রাখা যায়’ এমন মন্তব্য করে তিনি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ভোটাধিকার হলো মৌলিক অধিকার, এটার জন্য মুক্তিযুদ্ধে করেছি। এটা সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। এবার জাগরণ উঠছে, এই জাগরণের মধ্যে দিয়ে তরুণদের নিয়ে এ দেশের মানুষকে মুক্ত ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো ইনশাআল্লাহ্।
গতকাল শনিবার দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুরের বাসস্ট্যান্ডের পথসভায়ও তিনি বক্তব্য রাখেন। মির্জা ফখরুল বলেন, এই রোডমার্চের উদ্দেশ্যে কি? এই রোড মার্চের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে মানুষ যে কষ্ট আছে। তারা যেন সে কথা বলতে পারে। তিনি বলেন, উদ্দেশ্য একটাই, এই জনগণ সাথে নিয়ে আমরা আগের মতো ভোট করতে দিব না। রাষ্ট্রযন্ত্র নিয়ে, পুলিশ নিয়ে ভোট করবেন, ভোট কেড়ে নিয়ে যাবেন। দেশের মানুষকে বোকা ভাবেন? কিন্তু এবার দেশের মানুষ ১৪, ১৮ সালে মতো ভোট হতে দিবে না। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা জনগণকে ক্ষমতায় আনতে চাই। আমাদের একটাই লক্ষ্য জনগণের অধিকার ফিরে আনা। যদি না শুনেন, ফয়সাল হবে কোথায়? রাজপথে। ভোটাধিকারবঞ্চিত তরুণদের উজ্জীবিত করতে তারুণ্যের সমাবেশের পর এবার তারুণ্যের রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। গতকাল শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় রংপুর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয় এ রোডমার্চ। রোডমার্চ শুরুর আগে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রংপুর থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত রোডমার্চ কর্মসূচির প্রথম দিন আজ। রংপুর শহর থেকে যে রোডমার্চ শুরু হয়েছে সেটি পাগলাপীর, তারাগঞ্জ, সৈয়দপুর বাসস্ট্যান্ড, ওয়াপদার রোড ও চিরিরবন্দরে ছয়টি পথসভার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরে গিয়ে শেষ হওয়ায় কথা রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রোডমার্চে বিএনপির রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা যোগ দিয়েছেন। রোডমার্চ যতই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল ততই বহরে নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল, পিকআপ ও গাড়ি নিয়ে যুক্ত হতে থাকেন। পথে পথে নারী ও শিশুসহ উৎসুক জনতা রাস্তায় দাঁড়িয়ে রোডমার্চকে স্বাগত জানায়। তখন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদেরকে দুই হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে অভ্যর্থনা জানান। রোডমার্চ আসা নেতাকর্মীদের দেখা যায়, তারা মাথায় সংগঠনের দলীয় ব্যাজ পরেছেন। তারা পিকআপে সাউন্ড বক্সের দলীয় গান বাজাচ্ছেন। অনেকে পতাকা নিয়ে এসেছেন। দিনাজপুরের কাছে গেলে গাড়ির বহর হয় প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ।