নাটোরের বাগাতিপাড়ায় সুদের টাকার জের ধরে তপন চন্দ্র চৌধুরী (৪০) নামে এক বাদাম বিক্রেতাকে হত্যার ঘটনায় মুল পরিকল্পনাকারীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫। শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নওগাঁর আত্রাই ও নাটোরের বাগাতিপাড়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী বাগাতিপাড়া উপজেলার বাড়ইপাড়া গ্রামের মাইনুল ইসলাম, মিলন আহমেদ, আলামিন ইসলাম, বিহারকোল গ্রামের শাহাবুল শেখ, কৃষ্ণপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম। রবিবার নাটোর র্যাব-৫ ক্যাম্পে এক প্রেসব্রিফিংয়ে র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক শাহরিয়ার এসব তথ্য জানান।
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক শাহরিয়ার জানান, তপন চন্দ্র চৌধুরী মালঞ্চি রেলগেট এলাকায় বাদাম বিক্রি করতো। প্রতিদিনের মতো সে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাদাম বিক্রির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে রাতে বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা তপনকে অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পায়নি। পরদিন দুপুরে স্থানীয়রা বিহারকোল এলাকায় নীলচড়া মাঠে আখক্ষেতের পাশে তপনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই নিতিশ চন্দ্র চৌধুরী অজ্ঞাত নামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর ছায়াতদন্তে নেমে র্যাব সদস্যরা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী মাইনুলকে নওগাঁর আত্রাই থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্যে হত্যাকান্ডে সহযোগিতাকারি অন্য চারজনকে বাগাতিপাড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকারীরা জানায়, পাওনা টাকা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে তারা বাদাম বিক্রেতা তপনকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা। পরে তারা কৌশলে তপনকে মাঠে নিয়ে গিয়ে এলোপাথারী পিটিয়ে হত্যা করে চলে যায়।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বাগাতিপাড়ার নীলচড়া এলাকার বাগাতিপাড়া ডিগ্রী কলেজ ও মহিলা কলেজের পিছনের একটি ফসলী জমি থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহটির সুরৎহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। তবে কি কারনে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখন জানাতে পারেনি পুলিশ।