রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে নিন্ম মানের কাজ করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে। ১নং বলদিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান (সাবেক মেম্বার) মোঃ সাইদুর রহমান সাঈদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্র জানায় চলতি অর্থ বছরে অবহেলিত ১নং বলদিয়া ইউনিয়নে উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য সরকারি অর্থ বরাদ্দ হয়। ইউনিয়নের মধ্যে বেশ কয়েকটি কাজ শুরু হয়। প্রাথমিক ভাবে জনগণের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইতে শুরু করে। সাধারণ মানুষ রাস্তার জন্য ব্যাক্তি মালিকানা জায়গা ছেড়ে দেয়। সবার স্বপ্ন সুন্দর ও প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ হবে। ইউনিয়নের মধ্যে হৈচৈ ফেলে দেয় জিলবাডী টু রাজাবাড়ি রাস্তার উন্নয়ন দেখার জন্য। বিগত ১৯৯৪ সালে সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ শহিদুল হক জামালের সময়ে উন্নয়নের জোয়ার বসে। কাঁচা রাস্তা থেকে পাকা রাস্তায় উন্নয়ন মূলক কাজকর্ম দেখে সাধারণ মানুষ বেজায় খুশি। বিগত ১৫ বছরের মধ্যে বলদিয়া ইউনিয়নে আহামরি রাস্তার কাজের উন্নয়ন হয়নি। দারুণ ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ। তবে প্রকাশ্যে বলার সাহস পায়নি কখনো। অথচ বলদিয়া ইউনিয়নে চলতি সময়ে উন্নয়নের ধারায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সাদা মনের মানুষ মাননীয় মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি। সব সমস্যার সমাধানের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে সফলতা বয়ে আনেন বলদিয়া ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের জন্য। মাননীয় মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের প্রচেষ্টা সার্থক হলেও কাজের মান নিয়ে নানান প্রশ্ন উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে সর্ব মহলে। স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, সাবেক মেম্বার বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান সাঈদ জিলবাডী টু রাজাবাড়ি রাস্তার কাজ পান।সিডিউল অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না। বরং নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে নিন্ম মানের ইট দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। অভিযোগ উঠেছে রাস্তার খোয়ার জন্য সিডিউল অনুযায়ী ইট ব্যাবহার করেনি। বরং বানারীপাড়ার এক হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকের দালানের পঁচা ইট কিনে রাস্তার কাজের জন্য ব্যাবহার হচ্ছে। প্রায় ৩৫ বছরের ব্যাবহার করা ইট দিয়ে রাস্তার কাজে লাগানো হচ্ছে। আর সেই কারণে স্থানীয় লোকজন দারুণ ক্ষুব্ধ। সরেজমিনে যাওয়া জেলার বহু গণ মাধ্যম কর্মীরা সরাসরি জিলবাডী যান আসল ঘটনা উদঘাটন করার জন্য। বাস্তবে গণমাধ্যম কর্মীদের টিম ইটের ভিডিও ফুটেজ ধারণ করেন। বাস্তবে দেখলে মনে হবে পোরামাটি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার কাজ। ইফতি ইটিসিএল প্রাইভেট লিঃ এর নামে কাজ। কিন্তু গণ মাধ্যম কর্মীদের অভিযোগ শোনার পর কোন ধরনের সঠিক দায়িত্ব নিয়ে সঠিক কথা বললেন না।বরং সুকৌশলে অনেক প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গেলেন। অবশ্য বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজের মান নিয়ে চমৎকার কথা বললেন গণমাধ্যম কর্মীদের জ্ঞাতার্থে। তিনি অকপটে বলেন, আমরা উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকার বেশীরভাগ লোকজন। তাই মান নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন নয় বরং কাজ নিয়ে প্রশ্ন করুন। আমাদের দরকার রাস্তার আর সেই রাস্তা না হলে বলুন। অবশ্য ঠান্ডা মাথায় সুন্দর সুন্দর কথা বলে জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের লেখালেখি না করার জন্য বললেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান সাঈদের কাজেকর্মে অতীষ্ঠ এলাকাবাসীরা। শালিসি বৈঠকে নানান অনিয়ম করে দারুণ বিতর্কিত হচ্ছে। বাল্য বিবাহ দিতে দারুণ উৎসাহী। আবার স্বামী স্ত্রীর তালাক বানিজ্য চলতি সময়ে রমরমা বানিজ্য করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে। আর সেই কারণে এলাকায় ভালো কাজ করার প্রশ্নই আসে না। অথচ বিগত সময়ে শাহীন চেয়ারম্যানের বিচার ব্যাবস্থা সহ কমবেশি উন্নয়ন মূলক কাজের কথা সাধারণ মানুষ মনে করে এখনো। ইউনিয়নের মধ্যে বেশির ভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, স্থানীয় রাজনীতির মাঠে রাজনীতির ক্ষমতা ব্যাবহার করে অতি নিন্ম মানের ইট ব্যাবহার করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। অথচ সরকার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ ঠিকই দিচ্ছে কিন্তু উন্নয়নের জন্য মান হচ্ছে না। আর সেই কারণে সাধারণ মানুষ হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। এলাকার বেশীরভাগ মানুষের দাবী, স্থানীয় উপজেলা প্রকৌশলীদের সুদৃষ্টি অতীব জরুরী। সঠিক দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হলে রাস্তার কাজের মান নিঃসন্দেহে সুন্দর হবে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের সুনাম সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে সর্বত্র।