জেলার গোমতী চরের কৃষকরা মুলা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সবুজ গাছের গোড়ায় মাটি ভেদ করে উঁকি দিয়েছে সাদা মুলা। এই সাদা মুলা এবার গোমতীর পাড়ে বাম্পার ফলন হয়েছে। বিস্তৃত্ব চরজুড়ে এখন মুলার সাদা হাসি। সেই হাসি লেগেছে কৃষকের চোখে মুখেও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লার আদর্শ সদর ও বুড়িচং উপজেলার গোমতী নদীর চরে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। চর থেকে মুলা সংগ্রহ,পরিস্কার করে আঁটি বাঁধছেন। জমির পাশে অপেক্ষা করছেন পাইকাররা। মুলা সংগ্রহ ও পরিস্কারের পরেই গাড়িতে তোলা হয়। গোমতী চরের মুলা জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে রাজধানী শহর ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের মুলা চাষি ফজর আলী। গোমতীর চরে তিনি ৪০ শতক জমিতে মুলা চাষ করেছেন। বীজ সার, কীটনাশক ও কৃষি মজুরি মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৩৪ হাজার টাকা। এখন সেই মুলা বিক্রি করেছেন ৮০ হাজার টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে মাত্র এক মাসেই তার মুনাফা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। আর এ কারনেই তৃপ্তির হাসি লেগেছে সবজি চাষী ফজর আলীর চোখে মুখে। এই মুলা কিনেছেন চট্টগ্রামের পাইকারী সবজি ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন। তিনি বাসসকে জানান, ৭০ হাজার টাকার মুলার সাথে বহন খরচ হবে আরো ১০ হাজার টাকা। এই মুলা বিক্রি করবেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। চট্টগ্রামের মুলার চাহিদা বেশী বলে তিনি জানান।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বাসসকে জানান, কৃষকদের জন্য মাঠে কৃষি কর্মকর্তারা আছেন। তারা যে কোন সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।