পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক, দৈনিক ইত্তেফাক রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি ও দৈনিক গিরিদর্পণ ও সাপ্তাহিক বনভূমি সম্পাদক, পাহাড়ে বহু সাংবাদিক গড়ার কারিগর ও সাংবাদিকতার বাতিঘর হিসেবে যার নাম চলে আসে তিনি হলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সাংবাদিকতা পেশায় বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ। শনিবার (১৬ নভেম্বর) দৈনিক গিরিদর্পণ ও সাপ্তাহিক বনভূমির সম্পাদক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ পাহাড়ের সাংবাদিকতা পেশায় ৫৫ বসন্ত পেরিয়ে ৫৬ বর্ষে পদার্পণ করলেন। জন্ম চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই। শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতায় আলো ছড়িয়ে দেন পার্বত্য জেলায়। আর আলহাজ¦ এ কে এম মকছুদ আহমেদ এর ৫৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের আয়োজনে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে সুধী সংলাপ সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল এরশাদ হোসেন, রাঙ্গামাটি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীন সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক সহ জেলার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা। সুধী সংলাপে বক্তারা বলেন, বিশ্বের যেকোনো পেশায় নির্দিষ্ট একটা বিষয়ে জানা থাকলে কাজ করা যায় তবে সাংবাদিকতা করতে গেলে সকল বিষয়ে জানতে হয়। সাংবাদিকতায়, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনীতি থেকে শুরু করে সকল বিষয়ে জানতে হয়। নয়তো সাংবাদিকতা করা যায় না। সাংবাদিকতাকে মহান পেশা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতা করে চারন সাংবাদিক এ কে এম মকসুদ আহমেদ সুদীর্ঘ ৫৫ বছর ধরে সফল ভাবে সাংবাদিকতার পথ অতিক্রম করেছেন তা ইতিহাস হয়ে থাকবে। তার পথ অনুসরণ করে বর্তমান সময়ে যারা সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত রয়েছেন তাদের সকলকে দেশ ও জাতির কল্যানে কাজ করার আহবান জানান। উল্লেখ্য আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদের পেশাগত জীবনের ৫৫টি বছর তিনি পাহাড়ের মানুষের হাসি-কান্না-আনন্দ, সুখ-দুঃখসহ এই পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন-অগ্রগতি-বঞ্চনার কথা তাঁর শাণিত কলমে জাতির সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি পাহাড়ের শান্তি প্রক্রিয়ায় তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। রাঙ্গামাটির দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক চারণ সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদ পাহাড়ের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার আলোকবর্তিকা হয়ে সমাজের শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় এখন পর্যন্ত কাজ করে চলেছেন। পাহাড়ের জনদূর্ভোগ লাঘবে সরকার ও জনগণের মধ্যে সর্ম্পক স্থাপনে মকছুদ আহমেদের অনন্য অবদান রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রিন্ট মিডিয়ার যুগ থেকে শুরু করে বর্তমানে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগ পর্যন্ত পথ পরিক্রমায় তার এই অবদান ইতিহাসের পাতায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ কে এম মকছুদ আহমেদ শুধু দৈনিক গিরিদর্পনের সম্পাদক নয়, তিনি পাহাড়ের চারণ সাংবাদিক হিসেবে সর্বাগ্রে পরিচিত মুখ। পাহাড়ের আনাচে কানাচে সবার দিকনির্দেশক এই পাইওনিয়ার লেখক ও সম্পাদক পর্ব্যতের জীবন্ত কিংবদন্তি। তিনি বিবিসি’র স্বনামধন্য একজন সফল প্রতিনিধি। বর্তমানেও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে চলেছেন। গুণীর সম্মান স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাই নির্ধারণ করে রাখেন। পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার অগ্রদুত এ কে এম মকছুদ আহমেদের অবদান কোন ভাবেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই কারোর। তিনি পাহাড়ে সাংবাদিকতা শুরু করেছেন বলেই, আজকে সাংবাদিকতা বিস্তার লাভ করেছে। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্যের একজন জলন্ত স্বাক্ষী। এ অঞ্চলের উত্থান-পতনের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত তিনি। কৃতজ্ঞতার সাথে বলতে চাই, বসুন্ধরা গ্রুপ এই গুণী সাংবাদিককে সম্মান দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের আপামর জনগণকে সম্মানিত করেছে। এই গুণী মানুষটি পার্বত্য সাংবাদিকতার কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে রাষ্ট্রীয় পুরষ্কারে ভুষিত হওয়ার সকল ক্রাইটেরিয়া পূরণ হয়েছে অনেক আগেই। দীর্ঘ পথ চলায় এ কে এম মকছুদ আহমেদ সত্য সংবাদ প্রকাশ হতে কখনো নিজেকে বিরত রাখেননি কোন দিন। অনেক সময় সত্য সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি এসেছিলো বার বার। তার লেখনির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা, সম্ভাবনা, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পাহাড়ের মানুষের কথা দেশ বিদেশের পত্র-পত্রিকায় তুলে ধরেছেন। তাই এ কে এম মকছুদ আহমেদ এই পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার বাতিঘর এবং পাহাড়ের জলন্ত কিংবদন্তি একজন মানুষ।